Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘আমার জীবনের ক্ষতি হলে শিক্ষা অফিসার-হিসাব সহকারী দায়ী’

Icon

বান্দরবান দক্ষিণ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ০৬:৩৫ পিএম

‘আমার জীবনের ক্ষতি হলে শিক্ষা অফিসার-হিসাব সহকারী দায়ী’

আমার জীবনের কোনো ক্ষতি হলে আলীকদম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশিষ কুমার ধর ও হিসাব সহকারী আবদুল গফুর রিয়াদ ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন। কারণ এ দুজনের কারণেই আমি আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত ও মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

কথাগুলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগে করে লিখেছেন বান্দরবানের লামা উপজেলার ডলুছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উম্মে রুমান রুমি। তিনি চলতি বছরের মার্চের ২১ তারিখে আলীকদম উপজেলার বিদ্যামনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়ে আসেন।

উম্মে রোমান রুমির ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের বেতন বকেয়া রয়ে গেছে। অর্থাৎ সরকারের কাছে তিনি ৫ বছরের বেতন পাবেন।

তার এ বদলি হওয়ার সুযোগে শিক্ষা অফিসার ও হিসাব সহকারী মিলে তার কাছ থেকে টাকা খাওয়ার ফন্দি করে। বকেয়া বেতন করে দেওয়ার জন্য ঘুস দাবি করেন ৫০ হাজার টাকা।

কোনো শিক্ষক এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় বদলি হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবে শেষ বেতনের প্রত্যয়নসহ প্রাপ্য বকেয়া বেতন-ভাতাদির বিল ও স্থানীয় হিসাবরক্ষণ অফিসারের নন-ড্রয়াল করা বিল বদলিকৃত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দেওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু শিক্ষা অফিসার ও হিসাব সহকারী তা না করে শুধু চলতি মাসের বেতনের বিলটি করে পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং পাঁচ বছরের বকেয়া বেতনের বিলটি আটকে দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক উম্মে রোমান রুমি বলেন, বকেয়া বেতন করতে হলে তারা দুজনকে নাকি ৫০ হাজার টাকা ঘুস দিতে হবে। না হয় বিভিন্ন কাগজপত্রের দোহায় দিয়ে ফাইল নাকি আটকিয়ে রাখবে। বিগত সাড়ে তিন মাস ধরে বেতনের ফাইল নিয়ে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কোনো সুরাহা পাইনি। তাই মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ করেছি।

উম্মে রোমান রুমির স্বামী খুরশেদ আলম ভুট্টো বলেন, আমিসহ আমার স্ত্রীর বিষয়টা নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারকে একটি লিখিত দরখাস্ত দিয়েছিলাম। জেলা শিক্ষা অফিসার জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আলীকদম উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখে ট্যাগ করে দেন এবং দরখাস্তটি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সরাসরি হাতে দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন আমাকে। কিন্তু আলীকদম উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আমার স্ত্রী এবং আমি যোগাযোগ করলে তিনি দরখাস্তটি ছুড়ে ফেলে দেন এবং টাকা ছাড়া কোনো কাজ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। হিসাব সহকারী আব্দুল গফুর রিয়াদও একই কথা বলেন।

খুরশেদ আলম ভুট্টো বলেন, হয়তো টাকা দিতে হবে, না হয় অনেকগুলো কাগজপত্র দিতে হবে। অথচ যে কাগজগুলো দিতে বলা হচ্ছে সেগুলো এই বিলের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। শুধু আমাদের হয়রানি করার জন্য মূলত এটি করা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলীকদম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশিষ কুমার ধর ও হিসাব সহকারী আব্দুল গফুর রিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ঘুসের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং কেন বকেয়া বেতনের বিলটা করা হচ্ছে না জিজ্ঞেস করা হলে তারা বিভিন্ন ওজুহাত দেখান এবং প্রতিবেদককে অফিসে আসতে বলেন।

বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার শফিউল আলম বলেন, আমার পাঠানো কাগজটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম