‘চিতা’র দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা!

আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী)
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৩, ১০:০৩ পিএম

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাহাষ্যপাড়া গ্রামের মৃত সুরেস চন্দ্র সরকারের ছেলে সুজিত চন্দ্র সরকার। তিন বছর আগে বাড়িতে পালন করা গাভি থেকে একটি বাছুর গরু হয়। পরে বাছুরটি সাড়ে পরিণত হয়েছে। তার নাম দিয়েছেন ‘চিতা’। আসন্ন কুরবানি ঈদে এটিকে বিক্রি করা হবে বলে জানান গরুর মালিম সুজিত চন্দ্র সরকার। তিনি এর দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।
জানা যায়, প্রায় ২০ মণ ওজনের এই গরুটি বাড়ি থেকে বিক্রি করবেন। এছাড়া তার খামারে দুই বছরের রোদ, বৃষ্টি ও মেঘসহ আরও চারটি গরু রয়েছে। রোদের দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ, বৃষ্টির দাম হাঁকা হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ এবং মেঘের দাম হাঁকা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে সুজিত চন্দ্র সরকার বলেন, আমি সংসার পরিচালনার সঙ্গে বাড়ির সঙ্গে দুটি টিনশেড ঘর তৈরি করে গরু পালন করছি। ‘চিতার’ জন্য প্রতি দিনের খাবারে ব্যয় হয় প্রায় ৪৫০-৫০০ টাকা। ১৫ লাখ টাকা হলে চিতাকে এবার ঈদে বিক্রি করবেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার অনুপস্থিতিতে মা ও স্ত্রী মুক্তি রানী সরকার চিতাকে দেখভাল করেন। এছাড়া অন্য গরুগুলোর নাম মা রেখেছেন।
এ বিষয়ে সুজিত চন্দ্র সরকারের মা রেখা রানী সরকার জানান, ফিজিয়ান জাতের গরুগুলো প্রতিদিনের খাবার খায় কাঁচা ঘাস, গমের ভুসি, ভাত, চিটাগুড়, শুকনা খড়। গরুগুলোকে নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাতে হয়। গরমে চালাতে হয় বৈদ্যুতিক ফ্যান। ‘চিতা’ ১০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা। ১৫ লাখ টাকা পেলে এটি বিক্রি করা হবে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, কুরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে উপজেলায় গরু, মহিষ, খাসি, ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। অতিরিক্ত পশু জেলার বাইরে পাঠানো হবে। এছাড়া অনলাইনে বেচাকেনা হচ্ছে।