Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘সাধুকে’ নিয়ে হৈ চৈ

Icon

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ০৮:২৭ পিএম

‘সাধুকে’ নিয়ে হৈ চৈ

সাটুরিয়ায় বিরাট আকার কুরবানির গরু পালনে অঘোষিত প্রতিযোগিতা দীর্ঘদিনের।  রাজাবাবু, সম্রাট, সিন্দাবাদ, কালাচাঁদ ও ডন এসব আজব নামে বিশাল আকারের কুরবানির গরু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল কয়েক বছর ধরেই। পান-সুপারি বিক্রেতা সুব্রত সাহার ‘সাধু’ নামে ২৫ মণের গরু হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে। 

মুখমণ্ডল কালো, শরীরে সাদা, উঁচু চূড়া, ঝুলে থাকা গলাকম্বল প্রায় মাটি ছুঁই ছুঁই করছে। মাথায় লম্বা শিং, শান্ত স্বভাবের। শান্ত স্বভাবের চলনবলনে নাম রাখেন সাধু।  কেউ কেউ ৪০-৪২ মণ প্রচার করলেও ২৮ মণ ওজনের সত্যতা স্বীকার করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। আর্থিক ঝুঁকি নিয়ে ব্যয় বহুল এ গরু পালন করেছেন উপজেলার বালিয়াটি জমিদার বাড়ির আঙ্গিনার সুব্রত সাহা। মানিকগঞ্জের সবচেয়ে বড় গরু- দাবি মালিকের। সৌখিন ক্রেতার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তিনি। 

সুব্রত পুত্রস্নেহে চার বছর বয়সি (হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান) ষাঁড় গরুটি দেশি খাদ্য দিয়ে লালন-পালন করছেন। গত বছর ঈদে ওজন ছিল ১৬-১৭ মণ।  করোনার প্রভাবে উপযুক্ত দাম না পেয়ে বিক্রি হয়নি। বাধ্য হয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে লালন করেছেন সাধুকে। 

সাধুর থাকার ঘরটাও বেশ রাজকীয়। মেঝে সম্পূর্ণ পাকা, পায়ের নিচে ফ্লোরে প্লাস্টিক কার্পেট এবং গরম থেকে সুরক্ষার জন্য মাথার ওপরে ঝুলছে সিলিং ফ্যান।  ২৪ ঘণ্টায় একাধিকবার গোসল করাতে হয় সাধুকে। খাবারে রয়েছে ব্যয় বহুল তালিকা- দশ কেজি গমের ভুসি, দুই কেজি মালটা, ৩-৪ ডজন কলা, এক কেজি গুড়, ভুট্টা ভাঙা, ছোলা ভাঙা, মিষ্টি কুমড়া, লেবু, ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস।  প্রতিদিন ব্যয় প্রায় তিন হাজার টাকা।

সুব্রত সাহা বলেন, স্ত্রী আশা রানী সাহার সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যর মতো আদরে বড় করেছি সাধুকে। তবে গরমের মাত্রা বেড়ে যাওয়াই দুচিন্তার কারণ ছিল। আবার উপযুক্ত দাম পাব কিনা তাও চিন্তায় আছি। আপাতত ১২ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। আলোচনা সাপেক্ষে বিক্রি করব।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. খোকন হোসেন বলেন, ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বড় গরু পালনে খামারিদের উৎসাহ রয়েছে। ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই দেশি প্রযুক্তিতে গরু পালনে নিয়মিত খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম