সিলেটে শুরু হয়েছে ওলিকুল শিরোমনি হজরত শাহজালালের (রহ.) ওরস। শুক্রবার সকালে গিলাপ চড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ওরসের আনুষ্ঠানিকতা।
ওরস উপলক্ষ্যে হজরত শাহজালালের মাজারে ভক্ত-আশেকানদের ঢল নেমেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা।
শনিবার ভোরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দুই দিনব্যাপী ওরস মোবারক। প্রতি বছর আরবি মাসের ১৯ ও ২০ জিলকদ দুই দিনব্যাপী ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওরস উপলক্ষ্যে মাজারে গিলাফ প্রদান করেছেন সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তারা মাজারে হাজির হয়ে গিলাফ দিয়ে জিয়ারত করেন।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্ত-আশেকানরা জানান, হজরত শাহজালালের (রহ.) টানে প্রতি বছর শত কষ্ট স্বীকার করে হলেও ছুটে আসেন তারা। নিজেদের জীবনের সন্তুষ্টির পাশাপাশি ভক্তরা প্রার্থনা করেন দেশ ও দশের মঙ্গলে। কেবল ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাই নয়, বিভিন্ন জাতি-ধর্মের মানুষের পদচারণায় দরগাহ প্রাঙ্গণ যেন হয়ে উঠে সাম্প্রদায়িক মিলনমেলার তীর্থভূমি।
গত কয়েক দিন ধরে ভক্ত-আশেকানদের ভিড় বেড়েই চলেছে মাজার এলাকায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ওরসে শরিক হতে আসতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মানুষ। তাদের অনেকেই অবস্থান করছেন মাজারের আশপাশের হোটেলগুলোতে। আবার অনেকেই বাস-ট্রাক নিয়ে এসেছেন, অবস্থান করছেন গাড়িতেই। ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই মাজার এলাকা মুখর হয়ে উঠেছে হাজারও লোক সমাগমে।
ওরস উপলক্ষ্যে ভক্ত-আশেকানরা শতাধিক গরু ও খাসি এনেছেন নজরানা হিসেবে; যা দিয়ে সারা দেশ থেকে আসা ভক্ত-আশেকানদের জন্য শিরনি করা হয়। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত জিকির ও ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে ভক্তরা সময় অতিবাহিত করবেন।
এদিকে ওরস ঘিরে মাজার প্রাঙ্গণে বসতে শুরু করেছে বাউলদের আসর। শান্তিপূর্ণভাবে বার্ষিক এ উৎসব সম্পন্ন করতে মাজার কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি রয়েছেন নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক।