বরিশাল সিটি নির্বাচন
কেন্দ্রের ফটকে ও কক্ষে কক্ষে সিসি ক্যামেরা, মেয়র প্রার্থীদের গণসংযোগ
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ১০:১৬ পিএম
বরিশাল সিটি নির্বাচনে (বিসিসি) অপরাধ রোধ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের জন্য ৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। তারা নগরীর ৩০ ওয়ার্ডে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের তাৎক্ষণিক বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মিডিয়া সমন্বয়ক মো. মনিরুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে ১২৬টি কেন্দ্রের প্রবেশপথে দুটি ও ৮৯৪ কক্ষের প্রত্যেকটিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে মোট ১ হাজার ১৪৬টি সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনের ক্যামেরা স্থাপন কমিটির আহবায়ক ও নেছারবাদ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিন শরীফ।
কলোনিবাসীকে স্থায়ী বাসস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি খোকনের : শুক্রবার দুপুরে অগ্নিকাণ্ডে নগরীর ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবন্ধু কলোনি পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত। এ সময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে কলোনিবাসীর স্থায়ী আবাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচিত হলে বরিশালকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলব। এই নগরীতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। বেকার ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করব। এর অংশ হিসাবে কলোনির খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব। পরিকল্পিতভাবে বাসস্থান নির্মাণ করে নাগরিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করব। যাতে ছোটবড় সব ধরনের দুর্ঘটনা থেকে মুক্ত থাকতে পারে কলোনির বাসিন্দারা।’
এ সময় খোকনের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, নির্বাচনি দপ্তর সেলের প্রধান অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক প্রমুখ।
পরিবেশ ভালো দেখছি না-তাপস : এদিন বৃষ্টিভেজা সকালে নগরীর কালিজিরা বাজারে গণসংযোগকালে তিনি লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ভোটের মাত্র ৩ দিন বাকি। এখনও ভোটাররা বলছেন, ভাই ভোটকেন্দ্রে যেতে পারব তো? স্বাধীনমতো ভোট দিতে পারব তো? আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি, কিন্তু পরিবেশ ভালো দেখছি না।’
তিনি বলেন, ‘ভোট চোর-ডাকাতদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ। তারা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চায়। ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নিশিরাতের সরকারের মেয়র বানাতে চায়। কিন্তু তারা ভুলে গেছেন তাদের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মেয়াদ আছে মাত্র ৬ মাস। যেকোনো সময়ে তাসের ঘরের মতো তছনছ হয়ে যেতে পারে তাদের সাজানো বাগান। গত ১৫ বছরের হিসাব নেওয়ার জন্য জনগণ অপেক্ষা করছে।’ এ সময় তাপসের সঙ্গে ছিলেন অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, এসএম রহমান পারভেজ প্রমুখ।
এছাড়া এদিন নগরীর চকবাজার রোডে দুপুরে গণসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন গণসংযোগ করেন নগরীর কেডিসি এলাকায়।