নবাবগঞ্জে বসতবাড়ি রক্ষায় খালে বাঁধ নির্মাণের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ১০:০১ পিএম
নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের দাউদপুর, ছোট কাউনিয়াকান্দি, কান্দাবারিল্যা ও রামনগর এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালটি স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে কৃষি কাজের স্বার্থে ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে খনন করা হয়। তখন খালের চওড়া ছিল ২৫ থেকে ৩০ ফুট। পরবর্তী সময়ে খালটি দখল ও দূষণে বিলুপ্ত হয়ে যায়। বর্তমানে খালটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ও প্রাথমিকভাবে খনন কাজ চলমান।
এলাকাবাসীর দাবি, অতি গভীরভাবে খাল খনন করার কাজ চলছে। এভাবে খনন করা হলে, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে প্রায় ৫০০ বসতবাড়ির অংশ ভেঙে খালের ভেতর চলে যাবে এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। এ অবস্থায় খনন কাজ সমাপ্তের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান এমএ বারি বাবুল মোল্লা জানান, খালটির সংস্কার কাজের বিষয়ে তিনি অবগত। সরকারিভাবে খাল খনন করা হচ্ছে। খালটি খনন করা হলে কৃষি কর্মের প্রসার ঘটানোসহ ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ সহজ হবে। তাছাড়া মৎস্য চাষ ও হাঁস পালনসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন স্থানীয়রা। এছাড়াও নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের দাউদপুর বাজার সংলগ্ন খালটি বিরাট অংশ প্রভাবশালীরা ভরাট করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এছাড়া অনেকেই আবার দোকানপাট তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন।
অপরদিকে বারুয়াখালী ইউনিয়নের ছোট কাউনিয়াকান্দি, কান্দাবারিল্যা ও রামনগর এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালের বিভিন্ন অংশ কতিপয় প্রভাশালীরা নিজেদের দখলে নিয়ে রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাটি বিক্রি করে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, খাল খননে যাতে কারো ক্ষতি না হয়- সেই বিষয়টি অবশ্যই লক্ষ্য রাখা হবে। কোনো সমস্যা হলে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।