Logo
Logo
×

সারাদেশ

বান্ধবীর ফোন নম্বর না দেওয়ায় বন্ধুকে নির্যাতন! ভিডিও ভাইরাল

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ০২:৩৮ পিএম

বান্ধবীর ফোন নম্বর না দেওয়ায় বন্ধুকে নির্যাতন! ভিডিও ভাইরাল

দাগনভূঞা উপজেলার ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের এক ছাত্রীর ফোন নম্বর না দেওয়ায় এক ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সেই নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় রোববার রাতে দাগনভূঞা থানায় অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্র জানায়, গত ২৯ মে দুপুরে কলেজের তৃতীয় তলার স্কাউট কক্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে একটি চেয়ারে বসিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি, লাথি, চড়-থাপ্পড় দিয়ে সিগারেটের আগুন দিয়ে আঙুলে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়।

পরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার হুমকি দিয়ে পকেটে থাকা এক হাজার ১০০ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাটি কলেজের কয়েকজন ছাত্র টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। হামলাকারীরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

এদিকে ছেলেকে নির্যাতনের ঘটনায় মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মামলার বাদী মমতাজ বেগম যুগান্তরকে বলেন, মেহেদীর কাছে বেশ কিছু দিন ধরে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের ফোন নম্বর চেয়েছে অভিযুক্তরা। নম্বর না দেওয়ায় তাকে এমন নির্যাতন করা হয়েছে। ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন— উপজেলার অভিরামপুর এলাকার বেলায়েত হোসেনের ছেলে তৌসিফ (১৮), গনিপুর এলাকার মনসুরের ছেলে সোহান (১৮), উদরাজপুর এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে মিঠু (১৮), সেনবাগের বিজবাগ ইউনিয়নের শ্যামেরাগাঁও এলাকার মো. হাবিবের ছেলে রানা (১৮) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী গ্রামের সামিরকে (১৮)।

এ বিষয়ে ইকবাল মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ মনজুরুল হক বলেন, ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. হাসান ইমাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ কলেজ পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম