বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৩, ১১:০১ পিএম
খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের জন্য ন্যায়কুঞ্জের (বিশ্রামাগার) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বিশ্রামাগারটি বাস্তবায়ন করছে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহীন উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক (জেলা জজ) মো. আজিজুল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান, সুপ্রিমকোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী, জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ওমর ফারুক সুজন, পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, জেলা বারের সভাপতি আশুতোষ চাকমা, অন্যান্য বিচারকরা, আইনজীবী, আদালতের কর্মচারীরা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলার জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহীন উদ্দিন এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।
বিচারপতি তার বক্তব্যে খাগড়াছড়ি আদালতের পুরোনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে দিকনির্দেশনা দেন। তিনি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাক্ষীদের যথা সময়ে আদালতে হাজির করার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি বিশেষভাবে নির্দেশ দেন।
শেখ হাসান আরিফ আরও বলেন, দেশের সব জেলা জজ আদালতগুলোতে প্রধান বিচারপতির আগ্রহ এবং নির্দেশনায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এই ন্যায়কুঞ্জতে দূর-দূরান্ত থেকে সাক্ষীরাসহ মামলার বিচারপ্রার্থীরা এসে অপেক্ষা করতে পারবেন। এই ন্যায়কুঞ্জে ব্রেস্টফিডিং (দুগ্ধপোষ্য শিশুদের মায়েদের জন্য) রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া এখানে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য শৌচাগারসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি যে উদ্দেশ্যে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন সে উদ্দেশ্যে যেন ব্যহত না হয়। সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেন তিনি।