বড় অভিযোগ-বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোট শেষ গাজীপুরে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রাজধানীর পার্শ্ববর্তী এই নগরীর এটি তৃতীয় নির্বাচন। এবার পুরো ভোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে বড় ধরনের কোনো অভিযোগ কিংবা বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এ নির্বাচনে ৩৩৪ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনে লড়ছেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডে এই নগরের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছে ১৮ জন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র ও ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় সব প্রার্থীই ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো এজেন্টকে থাকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সময় অনেক ভোটকেন্দ্র ফাঁকা দেখা যায়।
কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বেলা ২টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্তত ২০টি কেন্দ্রে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম যথাযথভাবে কাজ না করার খবর পাওয়া গেছে। এতে ভোট গ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সকালে নিজেদের ভোট প্রদান শেষে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন দুজনই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান। ভোট সুষ্ঠু হলে নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে নেবেন বলেও জানান তারা।
এ সময় জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইভিএম টেম্পারিং ও কোনো ধরনের কারচুপি হলে গাজীপুরের বাসিন্দাসহ দেশবাসী ফলাফল মেনে নেবে না।