সহায়তা পাচ্ছে চট্টগ্রামের ২৭ হাজার জেলে পরিবার
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ০৯:৪৪ পিএম
ফাইল ছবি
সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন ও টেকসই মৎস্য আহরণে ৬৫ দিন দেশের জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শনিবার মধ্যরাত থেকে তার কার্যকর হয়েছে। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ সময়ে কার্ডধারী প্রতিটি জেলে পরিবার ৮৬ কেজি করে চাল পাবে বলে জানা গেছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলে পল্লী ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে সভা ও মাইকিং করে জেলেদের সচেতন করছে। এরই মধ্যে উপকূলে ভিড়েছে জেলেদের ফিশিং ট্রলারগুলো।
জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা জানান, ১৯৮৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালায় সংযোজিত ১৯নং বিধিমোতাবেক ‘সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও মজুদ, সংরক্ষণ এবং সহনশীল মৎস্য আহরণ’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান এবং বাণিজ্যিক ট্রলার দিয়ে মাছ ও কাঁকড়া জাতীয় জলজ প্রাণী আহরণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী শনিবার মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
চট্টগ্রামে জেলে পরিবার রয়েছে ২৭ হাজার ৩টি। এসব পরিবার ৬৫ দিনে ৮৬ কেজি করে চাল সহায়তা পাবে। প্রথম ধাপে পাবে ৫৬ কেজি চাল। পরবর্তী ধাপে ৩০ কেজি ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী যুগান্তরকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তায়নে জেলে পল্লী ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে সভা ও মাইকিং করে জেলেদের সচেতন করছে। প্রতিটি জেলে পরিবার ৮৬ কেজি করে চাল সহায়তা পাবে।