আশুলিয়ায় একটি অনুমোদনহীন সিলিন্ডার মজুদ ও রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় একে একে মারা গেলেন তিনজন। মৃতদের মধ্যে গোডাউনের মালিকও রয়েছেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ গ্যাস গোডাউনের মালিক মো. বিল্লাল হোসেন (৩৫) ও নূরনবী (১৮) মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে ১৪ মে মারা যান শরিফুল ইসলাম নামে একজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি বলেন, আশুলিয়া থেকে ১৩ মে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ অবস্থায় শিশুসহ চারজন এ হাসপাতালে এসেছিলেন। এদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে নূরনবী ও বিল্লাল নামের দুইজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নূরনবীর শরীরের ৪৩ শতাংশ ও বিল্লালের শরীরে ৩৬ শতাংশ ফ্লেইম বার্ন হয়েছিল। ১৪ মে শরিফুল ইসলাম মারা যান। তার শরীরের তার শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
১৩ মে সকালে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমসংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকার বিল্লালের কারখানায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় রিফিল ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন (৩০), তার কর্মচারী শরিফুল ইসলাম (২৫), শরিফুল হোসেনের ছেলে সোহাগ (৯), নূরনবী (২৮) ও মাহলাম (২৬) অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. ওয়ালি উল্লাহ জানান, সকাল ৯টায় আশুলিয়ার বেরন এলাকার একটি টিনশেড গোডাউনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ছেলে সোহাগ (৯) ও মাহলামের (২৬) অবস্থাও গুরুতর বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিনুল ইসলাম জানান, গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামি ও কারখানার মালিক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তদন্ত করে দেখতে হবে এ গোডাউনে ওই মালিক ছাড়া আর কে কে মালিক আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।