ভোলায় জেলা সদরের ইলিশা-১ গ্যাস কূপের তৃতীয় স্তরে গ্যাসের মজুদ পরীক্ষা সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। তিন হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার ২৬০ মিটার গভীরতায় এ মজুদ রয়েছে।
এর আগে ২টি স্তরে মজুদ পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয় বলে জানান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন কোম্পানির (বাপেক্স) ভূতত্ত্ব বিভাগের মো. আলমগীর হোসেন। ৯ মার্চ কূপটির খনন কাজ শুরু সফলভাবে খনন কাজ শেষ করে। ২৭ এপ্রিল প্রথম স্তরের মজুদ পরীক্ষা শুরু হয়।
দ্বিতীয় স্তরের মজুদ পরীক্ষা শুরু হয় ৭ মে। সর্বশেষ ১৫ মে তৃতীয় স্তরের মজুদ পরীক্ষাকালে গ্যাসের চাপ ছিল ৩ হাজার ৪শ পিএসআই। এই কূপে প্রায় ২২০ বিসিএফ গ্যাসের মজুদ রয়েছে এটি প্রায় নিশ্চিত। এদিকে একের পর এক গ্যাস কূপ খনন ও মজুদ পাওয়ায় আশার কথা জানান সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
ভোলার গ্যাস দিয়ে শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলার কথা জানান তিনি। এদিকে গ্যাসের মজুদ বাড়লেও এ অঞ্চলের মানুষ গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন না। দুই দিন আগে মানববন্ধন করে গ্যাস সংযোগের দাবি জানান স্থানীয়রা। আবাসিক গ্যাস সংযোগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর দাবি জানান পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। ভোলার ৯টি কূপে বর্তমানে মজুদ রয়েছে ১ দশমিক ৭৩ টিসিএস। এ থেকে প্রতিদিন উত্তোলনযোগ্য রয়েছে ১ হাজার ৭শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
বর্তমানে ৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ২টি শিল্পকারখানা, ২ হাজার ৩শ আবাসিক সংযোগে ব্যয় হচ্ছে মাত্র ৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট। অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে প্রায় এক হাজার ৭২০ মিলিয়ন গ্যাস। গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার দাবি এখন স্থানীয়দের।