Logo
Logo
×

সারাদেশ

পৌর মেয়রের সহকারীর বিরুদ্ধে নবদম্পতিকে আটক মারধর ও স্বর্ণ লুটের অভিযোগ

Icon

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৩, ০৬:৪১ পিএম

পৌর মেয়রের সহকারীর বিরুদ্ধে নবদম্পতিকে আটক মারধর ও স্বর্ণ লুটের অভিযোগ

মাছুম হাসান শুভ

নরসিংদীর মনোহরদী পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মাছুম হাসান শুভর বিরুদ্ধে নবদম্পতিকে আটক করে মারধর ও স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগ উঠছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযুক্ত মাছুম হাসান শুভকে আটক করে। 

রাতেই ভোক্তভোগী হারুনুর রশিদ ধ্রুব বাদী হয়ে শুভসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৩-৪ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করেন। 

প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর শুক্রবার মামলাটি নথিভুক্ত করে আসামি শুভকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন। 

অভিযুক্ত মাছুম হাসান শুভ মনোহরদী শহর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের বায়োজিদ বোস্তামী এলাকার মৃত আবুল বাশারের ছেলে হারুনুর রশিদ ধ্রুব ঢাকার বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভির সহকারী পোগ্রাম প্রডিউসার হিসেবে কর্মরত আছেন। 

৩ বছর পূর্বে তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের বারাব গ্রামের পুলিশ সদস্য হারুনুর রশিদের মেয়ে রেশমা আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঢাকার ফার্মগেটে বসবাস করেন।

হারুনুর রশিদ ধ্রুব জানান, তিনি গত বুধবার সকালে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রীর জন্য থ্রি-পিস কিনতে ভগিনীপতি মোসাদ্দেকের সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে মনোহরদী বাজারে যান। 

সেখান থেকে দুপুর ৩টার দিকে অটোরিকশায় গ্যাস ভর্তি করতে তারা আনোয়ার সিএনজি স্টেশনে যান। গ্যাস ভর্তি শেষে সিএনজি স্টেশন থেকে বের হওয়ার সময় অতর্কিত ৭ থেকে ৮ জন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিভিন্ন অশ্লীল বাক্যবান ও নানান ধরনের হুমকি দিতে থাকে। 

একপর্যায়ে পৌর মেয়রের পিএস শুভ এসে তাদের নানান ধরনের প্রশ্ন করতে থাকেন। প্রশ্নের উত্তর দিতে আপত্তি করায় ধ্রুবর স্ত্রী রেশমার গালে থাপ্পড় মারে সে। ওই সময় হামলাকারীরা রেশমার গলায় পরিহিত স্বর্ণের চেইন ও ধ্রুবর হাতের দুটি সোনার আংটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

প্রকাশ্যে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও ভয়ে উপস্থিত কেউ এগিয়ে আসেনি। উল্টো হামলাকারীরা তাদের বিয়ের কাবিন না দেখালে যেতে দেবে না বলে সিএনজি স্টেশনের একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে মোবাইলে কাবিনের ছবি দেখালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ দূরতে গিয়ে ভীতসন্তস্ত্র হয়ে ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশি সহযোগিতা চান। এরপর পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।

হারুনুর রশিদ ধ্রুব বলেন, আমি জীবনে এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে কখনই পড়িনি। ওই সময়টুকু এখনো মনে হলে আমি আঁতকে উঠি। তারা আমার সামনেই আমার স্ত্রীর গালে থাপ্পড় দিয়েছে। স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। তবে আমরা সাধারণ মানুষ আইনি ঝামেলা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছি।

জানতে চাইলে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে সিসিটিভি পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম