তাবলিগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১২
কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
সাপ্তাহিক মাশওয়ারা বসা কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের সঙ্গে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাদ অনুসারীদের প্রায় ১২ জন আহত হন।
বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ফতেহপুর জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে আহতদের মধ্যে দুজন গুরুতর অবস্থায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন।
সাদ অনুসারী মোহাম্মদ জাহেদ জানান, আমাদের প্রায় ১৫/১৬ জন ফতেহপুর মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে আমাদের একজন এলান দিতে দাঁড়ালে মসজিদের ইমাম তাকে এলান দিতে নিষেধ করেন। এর পর আমরা সেখানে সাপ্তাহিক মাশওয়ারাতে বসতে চাইলে তিনি আমাদের বের হয়ে যেতে বলেন। আমরা তাকে আমাদের মাশওয়ারার কথা বললে তিনি মসজিদে তালা দিয়ে বের হয়ে যাবেন বলেন।
আমরা মসজিদ থেকে বের না হওয়ায়, মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী ফারুক হোসেন, নিজাম উদ্দিন ভুট্টু, মো. সারোয়ারসহ কয়েকজন এসে আমাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় আমাদের প্রায় ১২ জনের মতো আহত হন।
গুরুতর আহতাবস্থায় মাওলানা মোহাম্মদ আলী (৪৩) ও মো. সাগরকে (২২) জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের মুরব্বিদের বিষয়টি জানিয়েছি। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে আল্লাহর দিকে তাকিয়ে আমরা তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে মতামত জানতে মাওলানা জুবায়ের অনুসারী একাধিক দায়িত্বশীলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
নোয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. অহিদ উদ্দিন পলাশ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি শুনেছি তাবলিগের একপক্ষ মসজিদের ভেতর বসলে অন্যপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পেয়েছি। আমি দুপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের চেষ্টা করব।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তাবলিগের একপক্ষের ওপর অন্যপক্ষের হামলার ঘটনা শুনেছি। তবে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।