চরফ্যাশনে কচুরিপানা দিয়ে কৃষিশস্য উৎপাদন
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ১০:২৯ পিএম
ভোলার চরফ্যাশনে প্রথমবারের মতো কচুরিপানা দিয়ে কৃষিশস্য উৎপাদন শুরু হয়েছে। সফলভাবে করা গেলে অবশ্যই কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান ইউটিউবে ভিডিও দেখে কৃষকদের বাড়তি জমির ব্যবস্থা ও পরিত্যক্ত কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে বাড়তি আয় করার চিন্তা থেকেই এ উদ্যোগ নেন।
এর আগে কচুরিপানায় বরিশালের নেছারাবাদে কৃষি চাষাবাদের যথাযথ ব্যবহার হতো। সেখান থেকে চরফ্যাশনে আনা হয়েছে বিশেষজ্ঞ কৃষকদের।
বুধবার সকালে উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের হালিমাবাদ ৩ নম্বর ওযার্ডে ৩০ জন কৃষক-কৃষাণীর কচুরিপানায় চাষাবাদের প্রশিক্ষণ দেয় নেছারাবাদ থেকে আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞ কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকদের একেবারেই হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। কিভাবে কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ করা যায়।
বরিশালের নেছারাবাদ থেকে আমন্ত্রিত অভিজ্ঞ কৃষক শাহাদাত জানান, এসব কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে অর্থকরী ফসল বছরের বারো মাসেই উৎপাদন করা সম্ভব এবং চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে নানা ফসলের আবাদ করা যায এসব বেড থেকে। প্রাকৃতিক ও বিষমুক্ত ফসল এখান থেকেই উৎপাদন করা সম্ভব। চাইলে কৃষক নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল নোমান জানান, কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অভিশপ্ত বা পরিত্যক্ত কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য, পাশাপাশি এই কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি বলেছেন- কৃষিতে এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের উন্নয়নে নানা কর্মকাণ্ড বাস্তবাযন করে যাচ্ছে। কচুরিপানা দিয়ে কৃষিশস্য উৎপাদন এ অঞ্চলে যদি সফলভাবে করা যায়, অবশ্যই কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটবে চরফ্যাশনে।