Logo
Logo
×

সারাদেশ

পরীক্ষার হলে বহিরাগত, প্রতিবাদ করায় নাজেহাল কর্মকর্তা

Icon

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

পরীক্ষার হলে বহিরাগত, প্রতিবাদ করায় নাজেহাল কর্মকর্তা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার হলে বহিরাগত লোক ঢুকানোর অভিযোগ উঠেছে মাকসুদাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নাছেরের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্নাকে নাজেহালসহ ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। 

মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী তাহমিনা তামান্না ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, মাকসুদাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষা দিচ্ছে ভিভিটিসি টেকনিক্যাল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখানে পরীক্ষার সময় অযাচিত লোকজনের আসা-যাওয়ার কারণে প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা ও পরীক্ষার শৃঙ্খলা ভঙের আশঙ্কা করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্না। 

তিনি বলেন, বহিরাগত লোকজনের হলে প্রবেশ নিয়ে প্রধান শিক্ষক আবু নাছেরকে বারবার বলা হলেও তিনি কর্ণপাত না করে উল্টো আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এ সময় পরীক্ষার কেন্দ্রের সচিব ও ভিভিটিসি টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তার স্বার্থে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

ভিভিটিসি টেকনিক্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আগের বছরও ওই কেন্দ্রে একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। সরকারি নিয়ম মেনে চলতে বলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাকে নাজেহাল করা দুঃখজনক।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত মাকসুদাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আবু নাছের বলেন, ওই কর্মকর্তার সঙ্গে আমার কিছুই হয়নি। অসৌজন্যমূলক আচরণের বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভুইঁয়া বলেন, কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহমিনা তামান্নার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যেহেতু দুইজনই সরকারি চাকরিজীবী, তাই বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম