Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২৫

Icon

কমলনগর (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ মে ২০২৩, ১০:২১ পিএম

আ.লীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২৫

লক্ষীপুরের কমলনগরে আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার তোরাবগঞ্জ বাজারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীমের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এ সময় অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। 

ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তোরাবগঞ্জ বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীম কমলনগর এবং রামগতি উপজেলার ৫৩টি স্পটে কৃষকদের ক্ষেতের ধান কেটে দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেন। 

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে এক কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার কর্মসূচি ছিল তার। নির্বাচনকেন্দ্রিক গত কয়েক মাস ধরে তিনি লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক কার্যক্রম শুরু করেন। দলীয় নেতাকর্মীদের একাংশ তার এই কার্যক্রমে যোগ দেন।

অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে হত্যার প্রতিবাদে উপজেলা কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার দুপুরে তোরাবগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন। 

এ সময় তোরাবগঞ্জ বাজার হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজুর নেতৃত্বে ইস্কান্দার মির্জা শামীমের অনুসারীরা শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে জেলা শহরের দিকে তাকে আনার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তাদের বহরটি তোরাবগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে আগ থেকে সেখানে অবস্থান নেওয়া লাইলীর অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। সেখানে ইস্কান্দার মির্জা শামীমের অনুসারীদের ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

লাইলী গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন সিয়াম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মাহমুদ ফলোয়ান, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছালাউদ্দিন দোলন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে তাদের আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে হঠাৎ করে আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজুর নেতৃত্ব মোটরসাইকেলবাহী একদল ‘সন্ত্রাসী’ অতর্কিত হামলা করে। 

এতে কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইমন, শেখ কাশেম উদ্দিন রানা, রাসেল, ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাজু, আল আমিন, মীর্জা রাসেল, শরিফ ও সাহেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, মেহেদী, বেল্লাল, মাকসুদ, রনি ও করিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

অপরদিকে ইস্কান্দার মির্জা শামীম গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশ্রাফ উদ্দিন রাজন রাজু জানান, ইস্কান্দার মির্জা শামীমকে এগিয়ে আনতে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তারা লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। তারা তোরাবগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে ওতপেতে থাকা ফরিদুন্নাহার লাইলীর অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা করেন।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম