Logo
Logo
×

সারাদেশ

দুর্ব্যবহার করায় মাধবপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর হামলা

Icon

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০১:১২ পিএম

দুর্ব্যবহার করায় মাধবপুরে শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর হামলা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র আচার্যের বিরুদ্ধে বদলীকৃত শিক্ষকদের রিলিজ স্লিপে স্বাক্ষর দানে উৎকোচ আদায়, দুর্ব্যবহার ও অপবাদের ক্ষোভ থেকে মেধাবী ছাত্র সৌরভ পাঠান তার ওপর হামলা করে।

শনিবার রাত ১০টায় মাধবপুর পৌরসভার কৃষ্ণনগরের বাসায় হামলাকারীর মা মোসা. মিনুয়ারা বেগম এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আমার মেয়ে আরফিনা আজিজুন্নাহার মাধবপুর উপজেলার হরিশ্যামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় সরকারি বিধি মোতাবেক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বদলি হয়। আমার স্বামী জীবিত না থাকায় এবং মেয়ে আরফিনা গর্ভবর্তী হওয়ায় ছোট ভাই ঢাকা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র সৌরভ পাঠানকে নিয়ে অফিসিয়ালি যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে।

গত ৩ এপ্রিল আমার মেয়ে ও তার চার বান্ধবী শিক্ষা অফিসে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র আচার্যকে বদলির বিষয়টি জানান এবং রিলিজ স্লিপ দেওয়ার জন্য বললে তিনি কিছু না বলেই বাসায় চলে যান।

৪ এপ্রিল আবার গেলে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, তোমাদের বদলি হয়েছে, তাতে আমার লাভ কী। তিনি বলেন, আমি রিলিজ অর্ডারে স্বাক্ষর করতে পারব না।

আকার-ইঙ্গিতে তিনি মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি করেন। এ সময় তাৎক্ষণিক এক শিক্ষিকা ১০ হাজার টাকা তার হাতে দেন।

শিক্ষা কর্মকর্তার দাবীকৃত আমার মেয়েসহ চার শিক্ষিকা ৪০ হাজার টাকা সৌরভের মাধ্যমে হবিগঞ্জে তার বাসায় দিয়ে আসেন। পরে ৬ এপ্রিল বিকাল ৩টার দিকে তিনি রিলিজ অর্ডারে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে নানাভাবে শিক্ষিকাদের হয়রানি করেন ওই কর্মকর্তা। গত বৃহস্পতিবার এ নিয়ে শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে রাস্তায় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা হয়।

হামলাকারীর মা বলেন, ছেলের এ আচরণে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তার এহেন আচরণ তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষিকা আরফিনা আজিজুন্নাহারের স্বামী শামসুজ্জামান ইকবাল ও চাচা আলী আমজাদ পাঠান উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য বলেন, আমি উৎকোচ নিইনি এবং শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করিনি। সৌরভ অতর্কিতে আমার ওপর বিনা কারণে হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি মামলা করেছি। সৌরভ ওই মামলায় এখন কারাগারে আছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম