রাজাপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ পাওয়া স্বামী পরিত্যক্তা বাকপ্রতিবন্ধী এক নারীর ঘরের তালা ভেঙে অন্য লোক তুলে দিয়েছেন চেয়ারম্যান। 

উপজেলা বড়ইয়া ইউনিয়নের উত্তমপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

ওই চেয়ারম্যানের নাম মো. সাহাবউদ্দিন সুরু মিয়া।  তিনি বর্তমানে উপজেলার ৫ নং বড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগীর মা কহিনুর বেগম জানান, সরকারিভাবে যাচাই-বাছাই শেষে দুই বছর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ঘর বরাদ্দ পান কাকুলী বেগম।  একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বরাদ্দের ঘরে থাকতে শুরু করেন তিনি।  ঘর নম্বর-২৭৯। কাকুলীর ছেলে আলীম বালুশ্রমিক।  কাকুলী তার মায়ের কাছে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। সম্প্রতি কাকুলী অসুস্থ হলে ঘরে তালা লাগিয়ে তার মা তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এই সুযোগে শুক্রবার বিকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাকুলীর ঘরের তালা ভেঙে বরাদ্দে নাম না থাকলেও মারুফা নামের অন্য এক নারীকে ওই ঘরে থাকতে দেন। 

ওই ঘরের নতুন বাসিন্দা মারুফা বেগম বলেন, আমার বাড়িতে একটু ঝামেলা হয়েছে। তাই ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে আমাকে থাকার জন্য নিজ হাতে তালা ভেঙে এই ঘরে থাকতে দিয়েছেন। আমার নামে কোনো ঘর বরাদ্দ নেই। এর আগে গত বৃহস্পতিবার অন্য একটি ঘরের তালা ভেঙে থাকতে দিয়েছিলেন। সেখানে ঘরের মালিক আমাকে থাকতে না দিলে শুক্রবার এই ঘরের তালা ভেঙে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাহাবউদ্দিন সুরু মিয়া জানান, মারুফা তার বাড়িতে থাকতে পারেন না। আমার কাছে কান্নাকাটি করছিলেন। তাই তাকে থাকার জন্য আশ্রয়ণ কেন্দ্রে একটি ঘর দিয়েছিলাম। এখন সমস্যা হলে আর থাকবে না। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, বিষয়টি আমি জেনে ঘর ফাঁকা করতে চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি। আশ্রয়ণ কেন্দ্রে যদি কোনো ঘর ফাঁকা থাকে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে তা উপজেলা প্রশাসন নেবে, ইউপি চেয়ারম্যান নয়।