নতুন কাপড় পেয়ে খুশি এতিম শিশুরা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৫ পিএম

ছবি: যুগান্তর
কখনো নিজের আবার অন্যজনের হাতে থাকা নতুন কাপড়ের দিকে তাকাচ্ছে এতিম শিশু ইমাম হোসেন। শুধু তাই নয়, ইমাম তার পাশেই বসে থাকা আরেক এতিম শিশু জান্নাত আক্তারকে নিজের কাপড়ের প্যাকেটটি দেখাচ্ছে আর বলছে- তোরটা থেকে আমারটা সুন্দর। এতে জান্নাতও প্রতিবাদী হয়ে নিজেরটা আরও বেশি সুন্দর বলে দাবি করছে। তবে এ প্রতিবাদে রাগের লেশমাত্র নেই। বরং রয়েছে আনন্দের ঝলকানি। ঈদে নতুন কাপড় পেয়ে তাদের চোখমুখে ফুটেছে অমলিন হাসি।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, সরকারি শিশু পরিবার এবং সেইফ হোমে আশ্রয় পাওয়া সমাজের এক সময়কার সুবিধাবঞ্চিত-বিপন্ন-ঝুঁকিতে থাকা ২৮৫ জন পথশিশু ঈদ উপহার নতুন পোশাক হাতে পেয়ে তাদের চোখেমুখে এমনই আনন্দের বহি:প্রকাশ ঘটেছে।
বুধবার দুপুরে ওই প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে সশরীরে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের জেলা স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি এবং জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান নিজে শিশুদের হাতে ঈদের উপহার তুলে দেন। এ সময় তিনি শিশুদের নতুন পোশাক ছাড়াও নানা প্রসাধনী সামগ্রী, মেহেদি, আতর ও টুপি এবং অনুষ্ঠানের শেষে কেরাত ও গজল প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিদুল আলম। এতে স্বাগতম বক্তব্য দেন কেন্দ্রের উপপ্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহীদুল আলম। এছাড়া সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম শহর সমাজসেবা কার্যালয়-২ এর সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর, সরকারি ফরহাদাবাদ শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক সুব্রত চন্দ্র বিশ্বাস ও ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলম।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সমাজের একেবারেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর একটি অংশ হিসেবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ঈদের আনন্দকে উদযাপন করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।