হাওড়ে ধানকাটা উৎসবে যোগ দিয়ে কাস্তে হাতে ধান কাটলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
বুধবার সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওড়ে বোরো ধান কর্তন উৎসবে যোগ দেন তারা।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, দেশ কৃষিক্ষেত্রে এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্যের ঘাটতি নেই। ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফসলহানি রক্ষায় সরকার বাঁধ নির্মাণে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। আগামজাত ফসল আবিষ্কারে কৃষি গবেষণা চলছে। আশা করি আগামী ১-২ বছরের মধ্যে এসব ফসল হাওড়ে ফলানো হবে। এতে পানি আসার আগেই ধান কর্তন শেষ হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে হাওড়ে ধানের চাষাবাদ করে। কিন্তু আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। এ বছর হাওড়ে এসে খুব ভালো লাগছে বোরো ধানের ফলন দেখে। এরই মধ্যে হাওড়ের ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এবার বন্যার আগেই হাওড়ের ধান ঘরে উঠে যাবে। এরই মধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওড়ের ধান কাটছে। এ বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।
ধানকাটা উৎসবে যোগ দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওড়ে ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওড়ে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ হবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় ১০০ দিন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে আমরা সফল হব। এমনকি আগাম বন্যা আসার আগেই হাওড়ের ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা।
তিনি বলেন, জলাভূমি হাওড়ে আর কোনো সড়ক নির্মাণ হবে না। তবে উড়ালসড়ক হবে, যেটির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ।
এ সময় অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষক লীগের সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন প্রমুখ।