গর্ভবতী হাতির সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ!
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:০৩ পিএম
মৌলভীবাজারের জুড়ীর দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চল থেকে গর্ভবতি হাতি দিয়ে বিশাল গাছ টেনে সমতলে নিয়ে আসা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের কচুরগুলের কুচাইথল পাহাড়ে সরেজমিনে দেখা যায় এমন অমানবিক দৃশ্য।
বোবা প্রাণির প্রতি এমন নির্দয় আচরণে স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ি কোন প্রাণী দিয়ে ভারি, অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ করানো দণ্ডনীয় অপরাধ।
সরেজমিনে গেলে হাতির মাহুত দুদু মিয়া জানান, কুচাইথল পান পুঞ্জির উচে খাসিয়া কামরুল ইসলাম নামে জুড়ীর জনৈক কাঠ ব্যবসায়ির কাছে তার দখলে থাকা পাহাড়ের ২৫টি বনজ গাছ বিক্রি করেন। ওই কাঠ ব্যবসায়ি গাছগুলো কেটে সমতলে নিয়ে আসার জন্য দৈনিক পাঁচ হাজার টাকা (মাহুতসহ) মজুরিতে হাতিটি ভাড়া করেছেন।
মাহুতের দাবি, গাছ কাটার সরকারি অনুমতি থাকায় তারা শুধু গাছগুলো টেনে সমতলে পৌঁছে দেওয়ার চুক্তিতে গত বুধবার থেকে হাতিটিকে দিয়ে কাজ করেছেন। সবগুলো সমতলে পৌঁছাতে আরও কয়েক দিন লেগে যাবে। তবে হাতিটি গর্ভবতী এবং এর মালিক জুড়ী উপজেলার একজন জনপ্রতিনিধি বলে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। অর্থ উপার্জনে নিরীহ প্রাণিটির ওপর এমন নির্দয় আচরণের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের এসিএফ (শ্রীমঙ্গল) শ্যামল কুমার মিত্র জানান, এক সময় পোষা হাতি দিয়ে গাছ টানানোয় কোনো বিধি নিষেধ ছিল না। কিন্তু বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ি কোন প্রাণি দিয়ে নিষ্ঠুর কোনো কাজ করানো অমানবিক, আইন বর্হিভুত ও দন্ডনীয় অপরাধ। হাতিটি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে তবে এখানে দুটো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।