Logo
Logo
×

সারাদেশ

রাজশাহী চিড়িয়াখানায় ডিম পেড়েছে ঘড়িয়াল

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৪ পিএম

রাজশাহী চিড়িয়াখানায় ডিম পেড়েছে ঘড়িয়াল

রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় প্রায় ৩৫ বছর আগে দুটি নারী ঘড়িয়াল ছিল। তাই প্রজনন সম্ভব ছিল না। পরবর্তীতে বংশবিস্তারের বিষয়টি মাথায় রেখে ২০১৭ সালের ১৩ আগস্ট একটি স্ত্রী ঘড়িয়াল ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে রাজশাহীতে একটি পুরুষ ঘড়িয়াল নিয়ে আসা হয়। এরপর নারী ঘড়িয়ালটির নাম পদ্মা আর পুরুষ ঘড়িয়ালটির নাম রাখা হয় গড়াই।

কিছুদিন যেতে না যেতেই পুরুষ ঘড়িয়াল গড়াইয়ের সঙ্গে নারী ঘড়িয়াল পদ্মার বেশ ঘনিষ্ঠতা হয়। এতে বিলুপ্তপ্রায় ঘড়িয়ালের বংশবিস্তার নিয়ে আশা জাগে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। এরপর প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পার হলেও ঘড়িয়ালের বংশবিস্তার হয়নি।

তবে আশার কথা হলো সপ্তাহখানেক আগে নারী ঘড়িয়াল পদ্মা ডিম দিয়েছে। এজন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যানে প্রজনন উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। গেল বছর পানিতে বেশ কয়েকটি ডিম দিলেও শেষপর্যন্ত তা রক্ষা করা যায়নি। তাই নতুন করে আবার ডিম পাড়ায় বংশ বিস্তারের নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা ঘড়িয়ালদের খাবার দিতে গিয়ে পানিতে কয়েকটি ভাঙ্গা ডিম দেখতে পান। এরপর বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে সেখান থেকে ৮টি ডিম উদ্ধার করা হয়। পরে ডিমগুলো বাচ্চা ফোটানোর জন্য বালুতে পুঁতে রাখা হয়েছে।

শহীদ কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. ফারহাদ উদ্দিন বলেন, জুটি বাঁধার পর সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে দুবার ডিম দিয়েছে নারী ঘড়িয়াল। তবে বাচ্চা ফোটেনি; কিন্তু এবার ডিমগুলো বালুতে পুঁতে রাখায় প্রজননের ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

কুমির জাতীয় প্রাণীর মধ্যে ঘড়িয়াল দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজাতি। বন্য পরিবেশে এরা ৫০ থেকে ৬০ বছর বাঁচে। পৃথিবীতে এখন ঘড়িয়াল আছে দুইশরও কম। বালুর তাপে ঘড়িয়ালদের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। আর তাদের বাচ্চা ফুটতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম