Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিশুর লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ

Icon

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৫০ পিএম

শিশুর লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ

দাউদকান্দিতে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ছয় বছরের শিশু তানিশার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্বজনরা। শনিবার রাতে ভুট্টা খেত থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হলে ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় দাউদকান্দি মডেল থানার সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভকারীরা লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় আধা ঘণ্টা অবস্থান নেন। এ সময় মহাসড়কের উভয়পাশে প্রায় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান, মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যান।

খুন হওয়া ওই শিশু তানিশা (৬) উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের প্রবাসী রাসেল মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার বিকাল ৩টার পর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তানিশাকে। পরে তার চাচার মোবাইল ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

চাচা ফয়সাল জানান, অপরিচিত নাম্বার থেকে আমার কাছে ফোন করে ভাতিজি তানিশা কোথায় জানতে চায়। বাড়িতে আছে বললে, তারা বলে বাড়িতে নেই, আমাদের কাছে আছে। নিতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে। পরে বিষয়টি আমাদের মেম্বারকে জানাই এবং বিকাশে তাদের মোবাইলে পঁচিশ হাজার টাকা পাঠানো হয়। মেম্বার  পুলিশকে জানায়। পুলিশ তাদের মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় আহাম্মদ আলীর ছেলে মাহফুজকে (২৫) শনিবার রাতে আটক করে। তার দেয়া তথ্যে শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় বাড়ির পাশের ভুট্টার জমি থেকে তানিশার লাশ উদ্ধার করা হয় এবং রতন, লিটন ও আশিককে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় মেম্বার শাজাহান মিয়া বলেন, শনিবার দিনের ৩টায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে তানিশা নিখোঁজ হয়। পরে জানতে পারি যে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার রাত ৩টায় ভুট্টা খেত থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, হত্যাকারী মাহফুজ, আশিক, লিটন ও রতনকে পুলিশ আটক করেছে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

নিহত শিশুটির মা শারমিন আক্তার, প্রতিদিন মেয়েটি পাশের বাড়ির মোর্শেদা ম্যাডামের কাছে প্রাইভেট পড়তো। কাল (শনিবার)  প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে গেলেও ম্যাডামের কাছে যায়নি। পরে খবর পাই যে, মেয়েকে অপহরণ করেছে, তারা দুই লাখ টাকা চায়। পঁচিশ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই বলে মূর্ছা যান।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, নিহত তানিশার মা শারমিন আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম