মানিকগঞ্জে সাবেক ফুটবলার টুটুলের 'চায়ের সাথে আড্ডা'
মতিউর রহমান, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০২:২৭ পিএম
দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল একসময় মাঠ কাঁপানো দেশসেরা ফুটবলার ছিলেন।
একাধিক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক একাধারে সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ছিলেন বিসিবির পরিচালক।
বর্তমানে তিনি কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে স্থানীয় সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার নতুন প্ল্যাটফরম তৈরি করেছেন।
নাম দিয়েছেন 'চায়ের সাথে আড্ডা' । এ শিরোনামে রাজনৈতিক সংলাপের নতুন ফরমেট ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
প্রতি সপ্তাহে একদিন চায়ের সাথে আড্ডা অনুষ্ঠানটি বিকাল থেকে শুরু হয়ে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। এই নির্বাচনি রাজনৈতিক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সিংগাইর-হরিরামপুর ও সদর উপজেলার (তিনটি ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী ঘরানাসহ সুশীলসমাজের হাজারও মানুষ তাদের অভিমত ব্যক্ত করছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনের মানুষ কী ধরনের প্রার্থী চান এবং তাদের উন্নয়নের প্রাপ্তির ঝুলিতে কতটুকু অর্জন, নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন হয়নি কোন কোন সেক্টর ও এলাকায় সেটি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণও চলে এই চায়ের আড্ডায়।
ইতোমধ্যে হরিরামপুরের সব ইউনিয়নের আওয়ামী ও অঙ্গসংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের হাজারও দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল আলাপচারিতা সম্পন্ন করেছেন।
একসময়ের মাঠ কাঁপানো ফুটবলার মানিকগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যে সমাদৃত। একজন সজ্জত ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি লাভ করেছেন।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও জনমত গঠনের কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ দলীয় নানান কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখছেন।
সর্বশেষ ৬ মার্চ তার রাজনৈতিক মতবিনিময়ের নতুন ফরম্যাট চায়ের সাথে আড্ডায় সিংগাইর উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের নিয়ে মতবিনিময়সভা করেন দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল।
এই মতবিনিময়সভায় মুক্তিযোদ্ধাসহ সুশীল সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।