লালমাইয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগ ২ নেতার বিরুদ্ধে
লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪০ এএম
কুমিল্লার লালমাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে দুই নেতার বিরুদ্ধে।
তারা হলেন— কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও লালমাই উপজেলা সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ এবং কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি, একই সঙ্গে সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস প্রতীক) প্রফেসর আবদুল মমিন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ ও গোলাম সরোয়ারের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আসন্ন ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাবচনে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, সেসব কর্মকর্তা; বিশেষ করে শিক্ষকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন ওই দুই নেতা। এ ব্যাপারে ওই প্রার্থী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
যথেষ্ট গোপনীয়তা রক্ষা করে মোট দেড় শতাধিক শিক্ষক নিয়ে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন শিক্ষক পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লালমাই সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহরলাল দত্ত, লালমাই মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কামরুল হাসান, প্রফেসর আবদুল হালিম, দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, হরিশ্চর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস কাঞ্চন, ছোট শরীফপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফারুকুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপাধ্যক্ষ জাকির হোসেন, যুক্তিখোলা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
আরও জানা যায়, ওই বৈঠকে সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের মনিরুল ইসলামকে ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান, দুতিয়াপুর বামরু মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলে উদ্দিনকে ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান, বরল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনকে ২৪টি মাদ্রাসার প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে মৌখিক একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো প্রক্রিয়ায় সরকারদলীয় প্রার্থীকে পাশ করিয়ে আনার জন্য ওই দুই নেতা বৈঠকে নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিকা সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা করার দরকার, তা নিশ্চয়ই করা হবে।