ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের পাতানো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে করা এক মামলায় স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক সুলতান প্রধান। 

বৃহস্পতিবার এ আদেশের পাশাপাশি ১৪ মার্চ মঙ্গলবার শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।

বাদি পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী রেজাউল করিম রাখাল বলেন, আদালতের এ নির্দেশের ফলে প্রেস ক্লাবের নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরবর্তী শুনানী না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থায় থাকবে। 

এ জন্য উভয়পক্ষকে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তফছিল অনুযায়ী আগামী ২৩ মার্চ অগঠনতান্ত্রিকভাবে সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত ছিল।

সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নতুন বৈধ ১৯ জন অন্তর্ভূক্ত সদস্যকে বাদ দিয়ে অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আহবায়ক কমিটি গঠন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করলে ৭ মার্চ মঙ্গলবার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম গং মামলাটি করেন।

মামলার আরজিতে জেহাদুল ইসলাম গং বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে তারা দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাংবাদিকতা করছেন। পেশাদার সাংবাদিক হয়েও একটি চক্রের কারণে তারা বারবার প্রেস ক্লাবে সদস্য পদের আবেদন করলেও নেওয়া হয়নি। 

বারবারই চক্রটি গঠনতন্ত্র না মেনে সদস্য নেওয়ার ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু সব বাধা বিপত্তি পেড়িয়ে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি নতুন সদস্য নেওয়ার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করে সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর ১৯জনকে সদস্যপদ দেন। এরপর ওই চক্রটি নানা ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করে বৈধভাবে নেওয়া ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে অবৈধভাবে একটি বৈঠক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করে।

শুধু তাই নয়, বৈধভাবে নেওয়া ১৯জন সদস্যকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নির্বাচন কমিশন গঠন করে আগামী ২৩ মার্চ পাতানো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছেন।

মামলার ব্যাপারে বাদি জেহাদুল ইসলাম বলেন, বিবাদীগণ জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের একমাত্র প্রিয় সংগঠন সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের বৈশিষ্ট বিনষ্ট করে গঠনতন্ত্র না মেনে মনগড়া নিয়মে চলতে পারে না।

আমরা সঠিক নিয়মে নতুন করে ১৯ জন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হলে আমাদের বাদ দিয়ে একটি পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এ নিয়ে বারবার কথা বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।

উল্লেখ, আদালত ৭ মার্চ মঙ্গলবার মামলাটি আমলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন, ট্রাইব্যুনাল ও আহবায়ক কমিটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার শুনানীর দিন নির্ধারণ করেন আদালত। 

তবে বিবাদীপক্ষ এক দরখাস্ত দ্বারা সময়ের প্রার্থনা করলে নির্বাচনী কার্যক্রমের উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার পরবর্তি শুনানীর দিন ধার্য্য করেন।