ক্যান্সারে আক্রান্ত ক্ষেতলালের শিশু পলাশ বাঁচতে চায়

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

ক্ষেতলালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মো. পলাশ রহমান। ছবি: যুগান্তর
ক্ষেতলালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মো. পলাশ রহমান বাঁচতে চায়। মাত্র ৯ বছর বয়সী শিশু পলাশ আর দশজন শিশুরমতো দুরন্তপনায় মাতিয়ে রাখত প্রিয় শিক্ষাঙ্গন ও খেলার মাঠ, কিন্তু সে এখন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছে।
পলাশ উপজেলার আয়মাপুর পূর্বপাড়া আবাসনে বসবাসকারী হতদরিদ্র দিনমজুর মিজানুর রহমান ও পলি আখতারের ছেলে। সে আয়মাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, হতদরিদ্র দিনমজুর মিজানুরের এক মাত্র ছেলে পলাশ। গত কয়েক মাস আগে পলাশ রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে বগুড়া শজিমেক (শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল) হাসপাতালে নিয়ে যান মা পলি আখতার। হাসপাতালে ভর্তির পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর শেষে পলাশের ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর ওই পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ যোগান দিতেই সর্বস্বান্ত হয় তার পরিবার।
এখন পলাশের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা তাদের দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তার ওপর প্রতি সপ্তাহে রক্ত দিতে হচ্ছে পলাশের শরীরে। রক্ত দিতে না পারলে ক্রমশয় দুর্বল হয়ে পড়ায় বেড়ে গেছে পলাশের পিতা-মাতার উৎকণ্ঠা।
বর্তমানে সে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম ও ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমম্পেক্স কর্মরত চিকিৎসক ডা. জোবায়ের গালিবের সহযোগিতায় শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে প্রায় তিন বছর মেয়াদি চিকিৎসা নিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে কেমোথেরাপি, হিমোগ্লোবিন ও দামি ইনজেকশন। এতে খরচ হবে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা।
পলাশকে বাঁচাতে যুগান্তরের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তার স্কুলের সহপাঠীরা। দেশের মানুষ যদি তাদের বন্ধু পলাশের চিকিৎসার জন্য সবাই একটি করে টাকা দান করেন তা হলে বেঁচে যেতে পারে তার জীবন।
প্রধানশিক্ষক নাজমা বেগম জানান, পলাশ একজন মেধাবী ছাত্র। সে এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে চিকিৎসা করাতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে টাকা জোগাড় করা অসম্ভব। সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তার বাবা ও মা।