অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরি করা বাসভবন বীর নিবাসে বসবাস শুরু করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাঁচ বীরাঙ্গনা।

তারা হলেন— রেণু বেগম, আরবি বেগম, রহিমা বেগম, চম্পা বেগম ও রাবিয়া বেগম। এদের সবারই বসবাস উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নরশিয়া গ্রামে।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের মতো তাদের হাতেও প্রতীকী চাবি তুলে দেওয়া হয়।শনিবার উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের নরশিয়া গ্রামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহপ্রবেশ করেন তারা।

এ উপলক্ষ্যে ওই গ্রামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন।

প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল আলম শ্যামল।

এতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপাধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, নিজামউদ্দিন, বীরাঙ্গনা রেণু বেগম, পিআইও হাবিবুর রহমান ও সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম আজম। পরে অতিথিরা বীরাঙ্গনাদের বাড়ি ঘুরে দেখেন।

বাড়ি পেয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বীরাঙ্গনা রেণু বেগম মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন তার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের স্মৃতিচারণ করেন।

তিনি তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি ও মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

বাড়ি নির্মাণে খরচের বিষয়ে পিআইও হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে প্রায় ১৩ লাখ টাকা করে ব্যয় হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা খাতুন জানান, উপজেলায় মোট আটজন বীরাঙ্গনা বর্তমানে জীবিত রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের প্রয়োজনীয় পরিমাণে নিজস্ব জমি না থাকায় সম্ভব হয়নি। তবে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা অবহিত করেছি।