অপহরণকারীদের টর্চার সেল থেকে অস্ত্র উদ্ধার
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম
প্রতীকী ছবি
রাজশাহীতে অপহরণকারী চক্রের একটি টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার মহানগরীর লক্ষ্মীপুরে মহানগর গোয়েন্দা শাখা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ভোরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ডিবির কুইক রেসপন্স টিম (সিআরটি) ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। সেখান থেকে বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতার চারজন হলেন- মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকার জোয়াদুল আহাদ খান ফারুকের ছেলে আরেফিন আহাদ খান সানি (৪২), মৃত আজাদ আলীর ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ ওরফে ফাহিম (২২), মো. নুরুজ্জামানের ছেলে মো. পারভেজ (২৭) এবং মেহেরচি-কড়াইতলা এলাকার আলম সরকারের ছেলে সাব্বির সরকার (২৫)। সানির বাড়ির দোতলায় ছিল এ টর্চার সেল। সেখান থেকে একটি রাইফেলসহ বেশকিছু চাইনিজ কুড়াল, চাকু, ছুরি ও রামদার মতো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
মহানগর ডিবি পুলিশের উপকমিশনার মো. আল মামুন জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে আসা দেলোয়ার হোসেন নামে এক ফেরিওয়ালাকে শহরের রাজারহাতা থেকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা। অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে রিকশায় তুলে ওই টর্চার সেলে নেওয়া হয়। এরপর দেলোয়ার হোসেনকে মারধরের পর দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে নগদ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পর দেলোয়ারকে ছেড়ে দেয় তারা। পরে দেলোয়ার বিষয়টি ডিবি পুলিশকে জানান। এরপর ডিবি পুলিশ ওই টর্চার সেলে অভিযান চালায়।
তিনি আরও জানান, অভিযানে গ্রেফতার চারজন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে- দীর্ঘ দিন ধরেই তারা এভাবে মানুষকে অপহরণ করে টর্চার সেলে নিয়ে যেত। তারপর মুক্তিপণ আদায় করত।
ডিবি পুলিশের উপকমিশনার জানান, গ্রেফতার চারজনই সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সদস্য। তারা অপহৃত ব্যক্তিকে টর্চার সেলে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। তারপর মোবাইল ফোনে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ আদায় করা হতো। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ফেরিওয়ালা দেলোয়ার হোসেন মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।