দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল বলতে কিছু নেই: শিক্ষামন্ত্রী
ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম
ময়মনসিংহে কর্মশালায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: যুগান্তর
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘দেশের মাটি ও জমি কমেছে, মানুষ দ্বিগুণের বেশি হয়েছে কিন্তু আমরা প্রয়োজনের শতভাগ উৎপাদন করতে পারছি। সরকারের উন্নয়ন ও ব্যাপক পরিবর্তনের দূরদর্শিতায় এখন আর প্রত্যন্ত অঞ্চল বলতে কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহে ‘বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক’ বিভাগীয় মিডিয়া ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকতার জগতটা হঠাৎ করে অনেক প্রসারিত হয়ে গেছে। অনেক বিশাল হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার কারণেই আমাদের এ ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়াতেই এতগুলো ইলেকট্রনিক মিডিয়া।’
অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যখন আমাদের হাতেগোনা কয়েকটা পত্রিকা ছিল, একটি রেডিও এবং একটি টেলিভিশন ছিল। সে আমলে সেগুলোকে সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্স বলা হতো এবং সেখান থেকে আমরা কোনো খবর পেতাম না। খবর পেতে আমাদের রেডিও শুনতে হতো। সেই আমল থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমাদের দেশে একটা তথ্য অধিকার আইন আছে, সেই আইনটির প্রয়োগও আছে। সেই কারণে যে তথ্যে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত সেই তথ্য ছাড়া যেকোনো মানুষের তথ্য পাবার অধিকার আছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলায় অনেক সংবাদপত্র, এত অনলাইন মিডিয়া সেগুলোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার একটা সাধারণ ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছেন দেশের জন্য। যেখানে মানুষ যত ক্ষমতাবান হোন না কেন, যত অর্থবিত্তের মালিক হোন না কেন, কেউ সেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নেই। কারণ যত প্রত্যন্ত এলাকা আছে সবখানেই অধিকাংশ মানুষের হাতে মোবাইল এবং তার অধিকাংশই স্মার্টফোন। এই যে নজিরবিহীন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিবেশ তৈরি করা- সেটিই তৈরি করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
নগরীর শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব ড. নাহিদ রশীদ, সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মনোরঞ্জন ধর, চিফ টেকনিক্যাল করডিনেটর ডা. গোলাম রব্বানী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সৈয়দ বোরহান কবীর, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব সম্পাদক অমিত রায় প্রমুখ।
কর্মশালায় ময়মনসিংহ বিভাগের ২৫ জন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ২৫ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশগ্রহণ করেন।