Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিশুদের আবেগের শহিদ মিনার ভেঙ্গে দিল দুর্বৃত্তরা

Icon

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম

শিশুদের আবেগের শহিদ মিনার ভেঙ্গে দিল দুর্বৃত্তরা

কলাগাছ দিয়ে তৈরি শহিদ মিনারটির কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ছবি: যুগান্তর

রায়পুরায় বেসরকারি কে এস এ পাবলিক স্কুলে কলাগাছ দিয়ে তৈরি শহিদ মিনারটির কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এতে করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার পলাশতলী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্থায়ী শহিদ মিনার না থাকায় একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহিদদের স্মরণে সোমবার বিকালে স্কুলে কলাগাছের অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয় শহিদ মিনার। বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় মিনারটি নির্মাণ করে। শহিদ মিনার নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাসায় চলে যায়। পরে ভোরে প্রভাত ফেরিতে এসে দেখতে পায় নির্মাণ করা শহিদ মিনারটি দুর্বৃত্তরা ভেঙে ফেলেছে।

তানভির, এয়াসিন, আবদুল্লাহসহ অনেক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘রাত ১২টা পর্যন্ত বসে থেকে বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি। সকালে প্রভাত ফেরিতে এসে দেখি শহিদ মিনারটি কেটে ফেলেছে। এটা দেখার পর মনটাই ভেঙে গেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষক আকলিমা বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ১৫০ শিক্ষার্থী নিয়ে গত বছর প্লে থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পরিচালিত হচ্ছে। স্থায়ী শহিদ মিনার না থাকায় অস্থায়ীভাবে কলাগাছ দিয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। সকালে এসে দেখি দুর্বৃত্তরা ভেঙে ফেলেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি জানাচ্ছি।’

বিদ্যালয়ের পরিচালক কবির সরকার জানান, ভোরের আগেই কে বা কারা অস্থায়ী শহীদ মিনারটির বেশকিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলেন, ‘রাত ১২টা পর্যন্ত নির্মাণ করার পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সবাই বাসায় চলে যাওয়ার পরে রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা অস্থায়ী নির্মাণ করা শহীদ মিনারটি কেটে ফেলে। এটি নি:সন্দেহে দেশ বিরোধী কাজ আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে বিচার চাই।’

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেন বলেন, ঘটনাটি এখনও কেউ জানায়নি। তবে খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানাকে অবগত করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম