‘বাল্যবিয়েতে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ’
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:০০ পিএম
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেন্ডার সমতা ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা। ছবি: যুগান্তর
বাল্যবিয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয়। বাংলাদেশের নিচে আছে একমাত্র আফগানিস্তান। শতচেষ্টা করেও বাল্যবিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ঠেকানো যাচ্ছে না।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত 'বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, বাল্যবিয়ে নিরোধ বিধিমালা-২০১৮, জেন্ডার সমতা ও শিশু সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালায় এসব তথ্য জানান আয়োজকরা। প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহযোগিতায় ঢাকা আহছানিয়া মিশন এ কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে এখনো ২৫ শতাংশ বাল্যবিয়ে হচ্ছে। সামাজিক সচেতনতা, নিরাপত্তার অভাব ও দারিদ্র্যতাই বাল্যবিয়ের মূল কারণ। আমাদের এসব পরিস্থিতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে এই সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নিতে কাজ করছে সরকার।
এছাড়া বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সানোয়ারুল হক। তিনি জানান, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এবং বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী বাল্যবিয়ে বন্ধ করার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে বাল্যবিয়ে বন্ধসহ দণ্ড আরোপের বিধান রয়েছে। কেউ যদি গোপনে বাল্যবিয়ে দেন তবে আইনে বলা হয়েছে- দুই বছরের মধ্যে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, দেশ থেকে ৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। এছাড়া মানিকগঞ্জে প্রতিটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক ক্লাসের পাশাপাশি বাল্যবিয়ের কুফল নিয়ে আলাদা ক্লাস নেওয়া ও প্রতিটি বিদ্যালয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধের কল করুন ‘১০৯’ স্টিকার লাগানো হবে। ‘১০৯’ নম্বরে ডায়াল করলে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন- পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.জাকির হোসেন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম সারোয়ার ছানু ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, ঢাকা আহছনিয়া মিশনের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ, ঢাকা আহছনিয়া মিশনের জেলা সমন্বয়কারী জেরিন আফরোজসহ ২৫ জন সাংবাদিক।