ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ ২৫ ফেব্রুয়ারি
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম
চরমোনাই পির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ছবি: যুগান্তর
চরমোনাই পির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক বিবর্তনবাদসহ অসঙ্গতিতে ভরা পাঠ্য সিলেবাসের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এমন পাঠ্য সিলেবাস ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে চলতে দেওয়া যায় না। তাই অবিলম্বে জাতিসত্ত্বা বিরোধী পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
শনিবার সকালে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে তিনদিন ব্যাপী বার্ষিক মাহফিলের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং অসঙ্গতির পাঠ্যপুস্তক বাতিলের দাবিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
চরমোনাই পির আরও বলেন, দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে সর্বস্তরে ইসলামকে বিজয়ী করতে হবে। আমরা ইসলামকে বিজয়ী করার মাধ্যমে দেশের মানুষের সামনে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য উপস্থাপন করতে চাই।
সমাপনী অধিবেশন শেষে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ ওলামায়ে কেরামরা আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাতে চরমোনাই পির বিশ্বের মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় দোয়া করেন।
এদিকে তিনদিনে মাহফিলের অস্থায়ী হাসপাতাল থেকে সাড়ে ১৭ হাজার মুসল্লি চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এ তিনদিনে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন আটজন। তারা হলেন- নওগাঁ সদর উপজেলার হারুনুর রশীদ (৫০), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সাদেক মিয়া (৬০), গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার রওশন শেখ (৬৫), জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জামাল উদ্দিন (৭০), হবিগঞ্জের লাখাই এলাকার বাদল মিয়া (৭৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার হেবজু মিয়া (৬০), বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরহাটের বাবুল চৌকিদার (৬০) ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার লিয়াকত আলী (৬০)। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের জানাজা মাহফিল ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে মাহফিল কমিটি।
বুধবার জোহরের নামাজের পর পিরের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এ মাহফিল। শনিবার সকালে সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ মাহফিলের শেষ হয়।