পাঠ্যপুস্তকের ভুল নিয়ে বয়ান, খতিবের বিরুদ্ধে মামলা
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম
ছাতকে সরকারি শিক্ষানীতি ও বর্তমান পাঠ্যপুস্তকের ভুল সংশোধনী নিয়ে বয়ান করায় মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুস ছালাম আল মাদানীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত দরাছত আলীর ছেলে কাওছার আহমদ বাদী থানায় মামলাটি করেন। বাদী গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
মামলার আসামী করা হয়েছে ২৮ বছর ধরে গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করা মাওলানা আব্দুস ছালাম আল মাদানী, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের খুজারপাড়া গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ি মোখতার আলী, পাঠানের গাঁও গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে মোজাহিদ, ছাতক উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে ব্যিবসায়ি আব্দুল মগনী এবং গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বেরাজপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে মতিউর রহমান।
আব্দুস ছালাম গোবিন্দনগর ফজলিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।
মসজিদে বর্তমান পাঠ্যপুস্তক সংশোধনী নিয়ে আলোচনা ও বয়ান করা হয়। এ বয়ান চলাকালে তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করায় কাউসারকে মুসল্লিরা বসিয়ে রাখেন। পরে জুমার নামাজ শেষে পূর্ব খতিব মাওলানা আব্দুস ছালাম আল মাদানীর ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন কাওসার আহমদ। মসজিদের মুসল্লিদের ডিঙ্গিয়ে খতিবের সামনে যাওয়ার আগেই কাওসারকে ধরে মারধর মসজিদ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাওসার আহমদ জানান, জামায়াতে নেতা মাওলানা ছালাম মাদানীর নিদেশে তার ওপর শিবির কমীরা হামলা চালায়।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজার জামে মসজিদের খতিব ও গোবিন্দনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস ছালাম আল মাদানী জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা সাজানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে পাঠ্যপুস্তকের বিভিন্ন ত্রুটি সম্পর্কে আলোচনা ও এসবের সংশোধনী নিয়ে বয়ান করেন। তিনি সরকারবিরোধী কোনো বক্তব্য দেয়নি।