ইজতেমায় নিরাপত্তা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো: জিএমপি কমিশনার

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:২৫ পিএম

শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমা। এ উপলক্ষে টঙ্গীর তুরাগ তীরে লাখ লাখ মুসুল্লির সমাবেশ ঘটেছে। বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ থেকে জামাত এসেছে এখানে।
তাবলিগ জামাতের সর্ববৃহৎ এ জমায়েত ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, এবার মুসুল্লিদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক মুসুল্লিদের পাশে আছে।
তিনি বলেন, এই মাত্র জুমার জামাত শেষ হলো। এখন অনেকেই গন্তব্যে ফিরবেন। মুসুল্লিদের গাড়িতে উঠতে কিংবা পথে যেন কোনো হয়রানির শিকার না হতে হয় সেদিকে সজাগ রয়েছে পুলিশ।
জিএমপি কমিশনার বলেন, ইজতেমা মাঠে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। তাদের সেবায় পুলিশ প্রশাসন পাশে আছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাসহ সবকিছু এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে। এরিয়াটা নিরাপত্তার চাদরে যেহেতু ঢেকে দিয়েছি, সুতরাং কোনোরকম কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।'
জিএমপি কমিশনার বলেন, এবার কোনো ধরনের নাশকতা, ছিনতাই ও রাহাজানির ঘটনা ঘটবে না বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, মাত্র জুমার নামাজ শেষ হয়েছে। অনেকে সড়কে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়েছেন। আশা করছি এক দেড় ঘণ্টার মধ্যে সড়ক খালি হয়ে যাবে। আবার যান চলাচল শুরু হবে।
মোনাজাতের দিনে গাড়ি চলবে কীভাবে এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, ওইদিন আমরা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে গাড়ি চলাচল ডাইভারশন করে দেব। এয়ারপোর্ট সড়ক দিয়ে ময়মনসিংহগামী গাড়ি আবদুল্লাহপুর থেকে ঘুরিয়ে আশুলিয়া দিয়ে যেতে দেওয়া হবে।
টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। আজ ফজর নামাজের পর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। উর্দুতে করা এই বয়ান বাংলাসহ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করে শোনানো হয়েছে।
পরে জুমার নামাজে অংশ নেন লাখ লাখ মুসুল্লি।