আ.লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে আলোচনায় মতিন মাস্টার
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৫৬ এএম
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে শূন্য থাকা শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদকের পদ ঘিরে শ্রমিকলীগের একাধিক নেতা আলোচনায় উঠে এসেছে।
পদটির জন্য নানাভাবে তারা সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
তিনি দীর্ঘ ৯ বছর জাতীয় শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ৮ বছর সহসভাপতি, ৫ বছর সেক্রেটারী, ৭ বছর জয়েন্ট সেক্রেটারী, ৪ বছর আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দলের একাধিক শীর্ষ নেতার মতে, বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে মতিন মাস্টার শ্রমিকলীগের দায়িত্ব পালন করেছেন নানা বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে। শ্রমিকলীগকে সংগঠিত করে ওই সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা রেখেছেন তিনি। সত্তরের দশক থেকে মতিন মাস্টার শ্রমিকলীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
এদিকে শ্রমিকলীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতে, দীর্ঘদিন শ্রমিকলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মতিন মাস্টার মূলদলে সাংগঠনিকভাবে মূল্যায়িত হননি। তাই আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদটি তিনি পেতে পারেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তিনিই শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে আসবেন।
আবদুল মতিন মাস্টার বলেন, সত্তরের দশকের শুরু থেকে আমি শ্রমিকলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলের কঠিন সময়ে টানা ৯ বছর কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের দায়িত্ব পালন করেছি। আমার বিশ্বাস আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মূল্যায়ন করবেন।
১৯৬৭ সালে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে হাতে খড়ি আবদুল মতিন মাস্টারের।এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ডেমরা শ্রমিক লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময় জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৩ সালের ৩ জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০১২ সালের ১৭ জুলাই পর্যন্ত টানা ৯ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন আবদুল মতির মাস্টার।
একজন পরিছন্ন রাজনৈতিক হিসেবে এবং দীর্ঘ সময় শ্রমিকলীগের রাজনীতি করার সুবাধে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণির কাছে ব্যাপক পরিচিত তিনি।
শ্রমিক নেতৃত্ব দিতে গিয়ে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় গিয়েছেন মতিন মাস্টার। এছাড়াও সরকারের প্রতিনিধি হয়ে শিল্প-কারখানার উন্নয়নে ও শ্রমিক কল্যানে ভুমিকা রাখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে রাজনৈতিক সেমিনারে যোগ দিতে ১৯৮৭ সালে প্রথম চেকোস্লোভিয়া ও যুগোস্লোভিয়া ভ্রমণ করেন মতিন মাস্টার।
এরপর ১৯৮৯ সালে রাশিয়া এবং ২০০৯ সালে গার্মেন্টস শিল্পোয়ন্ননে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ড সফর করেন। সর্বশেষ গার্মেন্টস শিল্পে জেএসপি সুবিধার বিষয় নিয়ে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে ২০১১ সালে আমেরিকার ওয়াশিংটনে সেমিনারে অংশগ্রহন করেন তিনি।
জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিটির সাবেক সদস্য আবদুল মতিন মাস্টার বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের ১নং সদস্য।