Logo
Logo
×

সারাদেশ

কন্যার নাম নিয়ে বাগবিতণ্ডা, কিশোরী বধূর কাণ্ড

Icon

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১০:২৪ পিএম

কন্যার নাম নিয়ে বাগবিতণ্ডা, কিশোরী বধূর কাণ্ড

প্রেমের টানে লেখাপড়া ছেড়ে কিশোরী বয়সে রাজমিস্ত্রিকে বিয়ে, অতঃপর সেই প্রেমিক স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া ও কন্যার নাম রাখা নিয়ে বাগবিতণ্ডায় বিয়ের দুই বছরের মাথায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন কিশোরী বধূ রিতু খাতুন (১৫)।

মঙ্গলবার দুপুরের নাটোরের সিংড়া পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া মহল্লায় কাতার প্রবাসী বাবা রিপন হোসেনের বাড়িতে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেন। বিকাল ৫টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে কিশোরী রিতু খাতুন ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়া অবস্থায় প্রতিবেশী শামীম হোসেনের বিল্ডিং বাড়িতে কর্মরত রাজমিস্ত্রি শাওন আলীর (১৮) প্রেমে পড়ে যান। পরে প্রেমের টানে লেখাপড়া ও বাড়িঘর ছেড়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে উভয় পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়। আর অল্প বয়সেই কিশোরী রিতু খাতুন একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

পরে সেই সন্তানের নাম রাখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। রাজমিস্ত্রি বাবা তার কন্যাকে ডাকেন সানজিদা আর কিশোরী মা আদর করে ডাকেন সিনথিয়া আকতার রুহি। শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বাগবিতণ্ডা ও মনোমালিন্য। একপর্যায়ে নাম ডাকা নিয়ে মায়ের কোল থেকে শিশুকন্যাকে কেড়ে নিয়ে কিশোরী রিতু খাতুনকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন রাজমিস্ত্রি স্বামী শাওন আলী। পরে সেই ৫ মাসের শিশুকন্যাকে রাজমিস্ত্রি বাবার কাছ থেকে নিয়ে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয় সিংড়া থানা পুলিশ।

এরপর থেকেই কিশোরী রিতু খাতুন তার কন্যাকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই বসবাস করছিলেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাতে মোবাইল ফোনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। সেই থেকে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেন কিশোরী রিতু খাতুন। মঙ্গলবার বাবার বাড়িতেই জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

নিহত কিশোরীর মা সুমি বেগম বলেন, স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় এক মাস আগে তার মেয়ে এখানে এসেছে। আর সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে তার মেয়ের সাথে রাজমিস্ত্রি জামাইয়ের বাগবিতণ্ডা হয়। তারপর থেকেই তার মেয়ে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দেয়। হঠাৎ এ ঘটনা ঘটেছে।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম