সূর্যের দেখা মেলেনি, শীতে কাঁপছে যশোর (ভিডিও)
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম
যশোরে সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে শীতে কাঁপছে যশোর। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। মঙ্গলবার যশোর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল থেকে মৃদু বাতাস বইছে। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন।
শহরের ঈদগাহ মোড়ের রিকশাচালক আরমান আলী বলেন, আজ যশোরে খুব ঠাণ্ডা পড়ছে। দুপুর পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। ঠাণ্ডা বাতাসে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
দড়াটানা এলাকার বৃদ্ধা ভিক্ষুক বলেন, খুব ঠাণ্ডা লাগছে। জ্বর সর্দি কাশি লেগেছে। ঘরে শুয়ে থাকার উপায় নেই। পেটের দায়ে রাস্তায় নেমেছি।
পথচারী নজরুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকেই কুয়াশায় চারপাশ ঢাকা পড়েছে। তারপরও থেমে নেই কাজ। বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে বাচ্চারা। এত শীতের মধ্যে স্কুলে যাচ্ছে তারা।
এদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাঁচি-কাশিসহ কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। অপরদিকে শীতের কারণে সারাদিনই গরম পোশাক পরে মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা যায়। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর চাপ। চিকিৎসকরা শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৪৯ হাজার পিস কম্বল ইতোমধ্যে জেলার ৮ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। বরাদ্দ পেলে আবার বিতরণ করা হবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুস সামাদ বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।