Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

Icon

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ এএম

আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

শরীয়তপুরের বালারবাজার এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে অসংখ্য দোকান। ছবি: যুগান্তর

শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের অধিগ্রহণকৃত সরকারি জমিতে নতুন করে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা, দোকান, মার্কেট ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এতে দিন দিন শরীয়তপুর সওজ-এর মালিকানাধীন জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে। দখলের এ চিত্র দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলেও প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের তেমন কোনো তৎপরতা নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নের বালারবাজার এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে গড়ে উঠছে অসংখ্য কাঁচা-পাকা দোকান ও মার্কেট। তারাবুনিয়া মৌজার ২৫৩৭৩ নম্বর দাগে এলএ কেস ৬/১৯-এর অধিগ্রহণকৃত জমিতে প্রায় অর্ধশত দোকান নির্মাণ করছেন নিষিদ্ধ সংগঠন সখিপুর থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি পাপ্পু দেওয়ানের বাবা আওয়ামী লীগ কর্মী মেজবাহাদুর দেওয়ান ও তার ভাই চরসেনসাস ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মিজান দেওয়ানসহ আরও অনেকে।

এ ছাড়া চার লেন সড়কের অধিগ্রহণকৃত জমির বালারবাজার এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে নতুন করে আরও প্রায় দেড় শতাধিক কাঁচা-পাকা দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। বালারবাজার ওয়েস্টার্ন সেতুর নিচের অংশ দখল করে ইতোমধ্যে গড়ে উঠেছে ৪–৫টি রেস্তোরাঁ। এত দখলদারি চললেও শরীয়তপুর সড়ক বিভাগ এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

শরীয়তপুর সওজ এবং জেলা প্রশাসনের সূত্র জানায়, জেলা সদর উপজেলার মনোহর বাজার থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিমপুর মেঘনা ফেরিঘাট পর্যন্ত শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ১২ মার্চ একনেকে অনুমোদন পায়, যার ব্যয় ধরা হয় ৮৫৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। প্রথমে প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ৯৫.৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯ সালের জুনে জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করে। এ পর্যন্ত মাত্র ২৯.২৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ শেষে সড়ক বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে; বাকি ৬৬.৬০ হেক্টর জমি এখনো প্রক্রিয়াধীন। 

জমি দখলকৃত আওয়ামী লীগ কর্মী মেজবাহাদুর জানান, আমাদের জমির টাকা পাইনি, তাই সড়কের জমিতে দোকান তুলছি। আর আমাদের পাশেই আরও অনেকে দোকান নির্মাণ করছে, তাই আমরাও করছি।

শরীয়তপুর সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাবিল হোসেন বলেন, কেউ অবৈধভাবে সড়কের অধিগ্রহণ করা জমি দখল করছে—এ কথা শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। খুব শিগগিরই সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম