ওষুধনীতি প্রণয়নের ৪২ বছরের অর্জন নিয়ে সেমিনার
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে জাতীয় ওষুধনীতি ১৯৮২ প্রণয়নের ৪২ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ওষুধনীতির কারণেই বর্তমানে মোট ওষুধের ৯৮ভাগ দেশে উৎপাদিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের ব্যাপক বিকাশ, ওষুধের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মানোন্নয়ন এবং ওষুধের দামের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর ১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়নে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সম্পৃক্ততার কারণে গণমুখী নীতি প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে।
শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক সাভারের পিএইচএ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘জাতীয় ওষুধনীতি ১৯৮২ প্রণয়নের ৪২ বছর : অর্জন ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তরা এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর ফার্মাকোলজী বিভাগের অধ্যাপক ডা: মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন কমিটিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সম্পৃক্ততা পুরো পক্রিয়ায় গন্তব্য বদলে দেয়। জাতীয় অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত আট সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণমুখী নীতি, নিরপেক্ষ মানসিকতা, দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টি এই বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছিল।
তিনি আরো বলেন, এর আগে ওষুধের সার্বিক অবস্থা নিয়ন্ত্রনে পর্যাপ্ত কোন আইনই ছিল না। জাতীয় ওষুধ নীতি ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই লক্ষ্য অর্জনেও সহায়তা করেছে।
সেমিনারের অন্য বক্তা বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশে বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানীগুলোর আধিপত্য ছিল। কাঁচামাল এদেশে তৈরি করবে বলে বিদেশী কোম্পানীগুলো সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিলেও এদেশে কোন কাঁচামাল তৈরি হতো না। ওষুধের দাম ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। জাতীয় ওষুধনীতির ফলে এ শিল্পে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিআইডিএস এর গবেষণা পরিচালক ড. কাজী ইকবাল বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সবসময় দেশের, দেশের মানুষের স্বার্থকে চিন্তা করতেন বিধায় এই নীতিতে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচিত হয়েছিল। জাতীয় ওষুধ নীতির কারণে স্থানীয় উৎপাদন কোম্পানীর বিকাশ ঘটেছিল। সেমিনারটি সঞ্চালন করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার।
সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সহধর্মিনী নারী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ শিরীন পারভীন হক। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, ডীন ও রেজিস্ট্রারসহ ফার্মাসিট, চিকিৎসক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। ক্যাপশন: সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেআয়োজিত ‘জাতীয় ওষুধনীতি ১৯৮২ প্রণয়নের ৪২ বছর : অর্জন ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর ফার্মাকোলজী বিভাগের অধ্যাপক ডা: মো. সায়েদুর রহমান।