গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৯ পিএম
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে গ্রামীণ ব্যাংক।
এ উপলক্ষে ১৬ই ডিসেম্বর (শনিবার) ২০২৩, গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়, মিরপুর-২, অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোসলেহ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ছাইদুজ্জামান ভূঞা ও জনাব নূর মোহাম্মদ।
বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে পিঠা উৎসব, ফ্রি মেডিক্যাল চেকাপ ও বিভিন্ন রকম খেলার আয়োজন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিজয় দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। আলোচনার মাঝে গ্রামীণ ব্যাংকের মিডিয়া সেলের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কর্মসূচি ও ঋণগ্রহীতা সদস্যদের সাফল্য গাঁথা নিয়ে নির্মিত একটি দেশাত্মবোধক গান প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল মজিদ বলেন, অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। বিজয়ের এই অনুভূতি আনন্দের হলেও মুক্তিযুদ্ধে স্বজনহারা পরিবারের কাছে দিনটি বেদনারও। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছি। এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়ে, তিনি কোটি কোটি মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের; যারা দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করেননি। সম্মান জানাচ্ছি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের বীরত্বে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। সেই স্বপ্নেরই বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক। আমাদের এক কোটিরও বেশি ঋণগ্রহীতা আজ হতদরিদ্র অবস্থা থেকে বেরিয়ে আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রসরতায় ভূমিকা রাখছে। এটি গ্রামীণ ব্যাংক তথা বাংলাদেশের অনন্য এক বিজয়।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. মোসলেহ উদ্দীন বলেন, বিজয়ের ৫৩ বছরে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষার প্রসার, নারী উন্নয়ন, শিশু মৃত্যুহার কমানো, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে আমাদের। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র বিমোচনে শুরু থেকেই গ্রামীণ ব্যাংক সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সততা আর নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। যার প্রতিফলন হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে দারিদ্রতাকে বিধায় জানিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকেই। অভাবের ক্রান্তিকালকে পেছনে ফেলে পেয়েছেন সুখপাখির দেখা। আমি মনে করি, এই সাফল্যর মাঝেই রয়েছে আমাদের বিজয়ের পূর্ণতা।
আলোচনা সভার পরে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা-এর সঙ্গীত পরিবেশনা ছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সহকর্মীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃতি, নৃত্য পরিবেশন ও র্যাফেল ড্র’র মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী এই আয়োজন।