স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ দূষণ কমছে ইডকলের ‘উন্নত চুলা’ ব্যবহারে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম
পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে আড়াই কোটি উন্নত চুলা প্রতিস্থাপন করা হবে। এরইমধ্যে ৪০ লাখ উন্নত চুলা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন সময় সাশ্রয়ী হচ্ছে, তেমনি পরিবেশগত দূষণ কমে মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমে আসছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার এক গোলটেবিল বৈঠকে একথা জানান ইন্ফ্রাস্ট্রাক্টার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (ইডকল) – এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব আলমগীর মোরশেদ।
‘শতভাগ ক্লিন কুকিং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ: ইডকল উন্নত চুলা কর্মসূচী’ শীর্ষক ইডকল ও বণিক বার্তার যৌথ আয়োজনে গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ইডকলের রিনিউঅ্যাবল এনার্জি বিভাগের প্রধান মো. এনামুল করিম পাভেল বিশেষ বক্তব্য রাখেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইডকলের উন্নত চুলা কর্মসূচী (আইসিএস) প্রধান মো. আব্দুল্লাহ হেল বাকী এবং আইসিডিডিআরবি’র সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাজিয়া ইসলাম। গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় আরও আংশগ্রহন করেন বিশ্বব্যাংকের এনার্জি স্পেশালিস্ট তনুজা ভট্টাচার্য্য, ওয়ালটনের ডেপুটি ডিরেক্টর মো. আক্তার হামিদ, আরএফএলের সিনিয়র ম্যানেজার মো. মাসুদ রানা, সোস্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটিশন ফর দ্য ফিজিক্যালি ভারনারেবল (এসএআরপিভি) প্রধান নির্বাহী মো. শহিদুল হক, বেসরকারি সংস্থা ‘আশ্রয়’-এর নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আহসান আলী, উত্তরাঞ্চলীয় জেলা চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা ইডকলের উন্নত চুলা (আইসিএস) ব্যবহারকারী রুখসানা পারভীন, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএআইআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আছাদুজ্জামান সুজন, বন অধিদফতরের ‘সুফল’ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ্ আব্রাহাম হোসেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) অধ্যাপক ড. মো. রিজওয়ান খান, এসএআরপিভির পরিচালক মো. কামরুজ্জামান, আরএফএল গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার স্বপন পাল, বণিক বার্তার সাংবাদিক ও বিভিন্ন কোম্পানি ও স্টেকহোল্ডাররা।
বণিক বার্তার প্রধান প্রতিবেদন বদরূল আলমের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকের সমাপনী বক্তব্য দেন ইডকলের রিনিউঅ্যাবল এনার্জি বিভাগের প্রধান মো. এনামুল করিম পাভেল। গোল টেবিল বৈঠকে জনাব আলমগীর মোরসেদ বলেন, আইসিএস (উন্নত চুলা কর্মসূচী) প্রোগ্রামে রান্নার চুলায় বিনিয়োগ মাত্র দুই থেকে তিন ডলার। এ দুই-তিন ডলারের ভূমিকা কী? দেখা গেলো, এ দুই-তিন ডলারের বিনিয়োগ সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছোট ছোট জিনিস দিয়ে অনেক বড় কিছু অর্জন করা যায়। তিনি বলেন, সারা দেশের গ্রাহকদের কাছে আমরা প্রায় চল্লিশ লাখ চুলা পৌছে দিতে পেরেছি। এর জন্য বিশ্বব্যাংকসহ আমাদের অংশীদারদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা আছে আড়াই কোটি। আমরা মাত্র ২০ শতাংশ করেছি। লক্ষ্য অনেক বড়, ২০৩০ এর মধ্যে এর শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। আমরা শীঘ্রই মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার প্রত্যাশা করি। এখন আমাদের রান্নঘরে মাটির চুলা ভালো লাগে না। আমরা ই-কুকিংয়ে (ইলেকট্রনিক চুলা) যাবো। অনেকগুলো অংশীদারের সাথে আমাদের কাজটি করতে হবে।