শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার আহবান
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম
দেশে বর্তমানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ বেকার। বেকারত্বের হাত থেকে মুক্তি পেতে শুধু চাকুরির পেছনে ছুটলেই চলবে নাা। নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের জন্য চাকুরির সুযোগ তৈরি করতে হবে। অন্যথায়, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেসন (আইবিএ) পরিচালিত গামর্ণ্টেস বিজনেস বিষয়ক পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স সম্পর্র্কে নারী শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণ এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন।
স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগাম (ঝঊওচ) এর সোশ্যাল মার্কেটিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ (২৬ নভেম্বর ২০২২) রাজধানীর বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে এক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ঝঊওচ’র অর্থায়নে মিড-লেভেল ও সিনিয়র ম্যানেজার তৈরির উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’তে গার্মেণ্টস বিজনেস বিষয়ক পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স পরিচালিত হচ্ছে।
আইবিএ’র পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিকুন নাহার এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় সেইপ’র সার্বিক কার্যক্রম এবং প্রশিক্ষণে নারীদের সম্পৃক্তকরণের বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেইপ প্রকল্পের উপ-নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূইয়া এবং একই প্রকল্পের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন স্পেশালিস্ট মো. খায়রুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, বহির্বিশ্বে পোষাক শিল্পের টেকসই অবস্থান নিশ্চিত করতে কান্ট্রি ব্রান্ডিংয়ের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। এটি সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়সাধ্য ব্যপার হলেও বাংলাদেশি ব্র্যান্ডকে পরিচিত করতে না পারলে পোষাক রপ্তানির বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা পিছিয়ে পড়ব। এজন্য পোষাক খাতের আধুনিক ডিজাইন ও উচ্চমান নিশ্চিত করতে নিজস্ব জনবল গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই।
তিনি সেইপ’র প্রশিক্ষণ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে পোষাক শিল্পের মিড-লেভেল এবং সিনিয়র ব্যবস্থাপকের পদগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে তেরি পোষাক খাতে বৈচিত্র্য আনতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূইয়া তার উপস্থাপনায় বলেন, জনসংখ্যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এ দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার উপর নির্ভর করছে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে স্থান করে দিতে সেইপ’র অর্থায়নে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সরকার দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। একই সাথে প্রশিক্ষণসম্পন্নকারীদের সম্মানজনক কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সরকার প্রদত্ত এসব শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ কাক্সিক্ষত জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌঁছে দিতে হবে। অন্যথায়, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির সরকারী উদ্যোগ সফল হবে না।
সভায় ঝঊওচ’র মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন স্পেশালিস্ট মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। মোট শ্রমশক্তির তিন ভাগের এক ভাগ নারী হলেও মোট আয়ে তাদের অংশিদারিত্ব ১০ ভাগের ১ ভাগ মাত্র। বিশ্বের মোট সম্পদের মাত্র ১ শতাংশের মালিক নারীরা। সম্পদে নারীর অংশিদারিত্ব না থাকায় সমাজে তারা নানা বঞ্চনা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে তাদেরকে উপার্জনমূলক কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা উন্নয়ন জরুরি। তিনি নরিী শিক্ষার্থীদের ঝঊওচ’র দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের সুযোগ গ্রহণের আহবান জানান।