এনএসইউতে জাতীয় শোক দিবস পালিত
বঙ্গোপসাগরের সব পানি দিয়ে ধুয়ে দিলেও জাতির পিতার রক্তের দাগ মুছবে না
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান এই মর্মান্তিক ঘটনার গভীর তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতাকে হারানোর ক্ষত কখনো নিরাময় হবে না। বঙ্গোপসাগরের সব পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেও এই দাগ মুছে যাবে না”।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, আমি তার অনেক হত্যাকারীকে চিনি। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন না যে, বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে।
দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে এনএসইউ আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মিসেস ইয়াসমিন কামাল।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আহসানুল হাদী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানের তাৎপর্য তুলে ধরে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত তাদের হত্যা করে খুনিরা তার আদর্শের অবসান ঘটাতে চেয়েছিল”। বিশ্বের বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রভাব কীভাবে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এক ভিডিও বার্তায় এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জাভেদ মুনির আহমেদ বঙ্গবন্ধুর প্রতি পাওনা ঋণের কথা তুলে ধরে বলেন, “আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি তবেই বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে পারবো”।
মিসেস ইয়াসমিন কামাল তার বক্তব্যে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং দেশের অগ্রগতির জন্য বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা স্মরণ করার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম ইসমাইল হোসেন।
এনএসইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বাংলাদেশের জন্মে বঙ্গবন্ধুর অপরিহার্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু না থাকলে আজকের এই বাংলাদেশ হতো না”।
অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এনএসইউ ডিবেট ক্লাব আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।