শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করল আইসিএসবি
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:২৫ পিএম
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস পালন করে।
ঢাকা রিজিওনাল চ্যাপ্টার (ডিআরসি) সাব কমিটি, আইসিএসবি উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সূর্য উদয়ের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলনের (অর্ধনমিত) মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়।
আইসিএসবির কাউন্সিল সদস্য এবং সদস্যগণ ব্যানার ও পুষ্পস্তবকসহ আইসিএসবির ক্যাম্পাস থেকে প্রভাতফেরী নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে পৌঁছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিকেলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে আইসিএসবির সেক্রেটারি ও সিইও মো. জাকির হোসেন অনুষ্ঠানটি শুরু করেন ও সকল অতিথিদের সাথে সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিআরসির সদস্য সচিব মো. শাহেদুল আমিন এফসিএস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরসির চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিল সদস্য মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ এফসিএস। তিনি প্রভাত ফেরি ও আলোচনা সভায় সকলকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এম নুরুল আলম এফসিএস। তিনি এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ডি আর সি এবং এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ এফসিএসকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন যে, এই দিবসটি উদযাপনের মূল উদ্দেশ্য হলো ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সম্পর্কে সকলকে সচেতন করা।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহ এফসিএস, প্রেসিডেন্ট, আইসিএসবি তার বক্তব্যে বলেন যে, ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন যা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। তিনি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেনবাংলা ভাষায় কথা বলার ও লেখার অধিকার পেতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা এবং ভাষা শহীদদের জীবন ত্যাগের কথা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নিউজ টুয়েন্টি ফোরে নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা।
তিনি বলেন যে, বাংলা ভাষা বিকশিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার স্থান তৈরি করে নিচ্ছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনে জাতি গঠনে বাংলাদেশের ভূমিকার সম্মানে বাংলা একটি সরকারী ভাষার মর্যাদা পেয়েছে। আমরা সবাই একটি অসামান্য বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মী শংকর সাওজাল। তিনি আইসিএসবিকে এমন একটি চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান ।
তিনি শিশুদের কাছে আমাদের আদর্শ লিপি ও বাংলা বর্ণমালা বিষয়ে শিশুদের বিভিন্ন বর্ননা দেন। তিনি আরো জানান, বর্ণলিখন প্রতিযোগিতার আয়োজনের ছত্রিশ বছর মানে তিন যুগ পূর্তি হবে এবার। এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হবে ২১ ফেব্রুয়ারীর পরের শুক্রবার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যেখানে ছোটশিশুদের হাতেখড়ি ও দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন আইসিএসবির ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম মুশফিকুর রহমান এফসিএস ও ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এফসিএস, কোষাধ্যক্ষ। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের ফেলোও এসোসিয়েট সদস্যবৃন্দ ও তাদের পরিবারবর্গ এবং আইসিএসবির কর্মকর্তাবৃন্দ। সদস্যদের সন্তানদের জন্য একটি চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং তাদের চিত্রাংকন এর ভিত্তিতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ডিআরসির সদস্য মোহাম্মদ কামরুজ্জামান খান এসিএস ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।