আঙুর খাওয়ার আগে জেনে নিন, না হলে বিপদ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
-67c56b50df48a.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
এখন চলছে আঙুর মৌসুম। তাই বর্তমানে বাজারে প্রচুর পরিমাণে আঙুর পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সবাই কমবেশি আঙুর খেতে ভীষণ পছন্দ করি। রসালো মিষ্টি এই ফলটি বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত— সবারই ভীষণ পছন্দের। বর্তমানে আঙুরকে পোকামাকড় ও কীটনাশকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কৃষকরাও নানান ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন। এখানে পোকামাকড় মারার রাসায়নিক দেওয়া হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আঙুর ভালোভাবে ধুয়ে তবেই আপনাকে খেতে হবে।
কারণ কীটনাশক শরীরে প্রবেশ করলে হজমের সমস্যা হবে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হতে পারে এবং শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানান সমস্যা দেখা দেবে। আবার ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তাই আগেই সাবধান হোন।
আঙুর প্রায় এক লিটার পানিতে দুই চামচ লবণ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর আবার ভালো পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তাহলে আঙুরে যদি কোনো কীটনাশক থাকে, তা সহজেই ধুয়ে যাবে।
বেকিং সোডা
আবার আঙুর ধুতে আপনি বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন। এক কাপ পানিতে বেকিং সোডা দিন, এরপর ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। গবেষণায় দেখা গেছে, বেকিং সোডা কীটনাশক দূর করতে সাহায্য করে। শুধু আঙুর নয়, এ দিয়ে আপনি সব রকম সবজি ও ফল সবই ধুতে পারবেন।
ভিনেগার
এক কাপ ভিনেগার। তিন কাপ পানি নিন। এরপর আঙুর ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর আবার ভালো পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি খুব সহজেই আঙুরে থাকা কীটনাশক মরে যাবে। ব্যাকটেরিয়া একদমই থাকবে না। তবে এর স্বাদ একদমই বদলাবে না। ধোয়ার পাত্র বর্তমানে বাজারে বেশ কিছু ফল ও সবজি ধোয়ার পণ্য পাওয়া যায়, যা কীটনাশক দূর করতে সাহায্য করে। তাই এ ধরনের এই ধোয়ার পাত্রে শাকসবজি ও ফল ভিজিয়ে রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চোখের জন্য
ভালো স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো আঙুর। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। আবার এই ফল খাওয়া চোখের জন্য ভালো। আবার হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন কে, বি ও খনিজসমৃদ্ধ। যদি নিত্যদিন আপনি খেতে পারেন তাহলে আপনার বড় রোগেরও ঝুঁকি কমবে। তবে আপনি যদি অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত থাকেন, তাহলে এগুলো খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।