পেঁপে বেশ জনপ্রিয় ফল। পাকা পেঁপে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। পাকা পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। হজমেও সহায়ক।
পেঁপে কাঁচা এবং পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়। পেকে গেলে ফল হিসেবে গণ্য। কাঁচা অবস্থায় সবজি। ঝোল হোক বা শুক্তো, নানা পদেই ব্যবহার হয় কাঁচা পেপে।
এক পুষ্টিবিদ জানিয়েছেন, পেঁপেতে ভিটামিন সি, প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। এছাড়া রয়েছে বিশেষ কিছু উৎসেচক, যেমন- পাপাইন, কাইমোপাপাইন। এগুলো হজমে সহায়তা করে।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য
পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি। ভিটামিন সি, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে কাঁচা পেঁপে খেলেও ত্বকের জৌলুস বৃদ্ধি পাবে। ত্বক টানটান রাখতেও সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে।
হজমে সহায়ক
পেঁপেতে থাকা একাধিক উৎসেচক হজমে সাহায্য করে। এতে পাচনতন্ত্র ভালো থাকে। যাদের বদহজম, অম্বল, পেট ফাঁপার সমস্যা রয়েছে, তারা খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁচা পেঁপে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিকদের ডায়েটে কাঁচা পেঁপে রাখতে বলা হয়। তরকারিতে আলুর বদলে কাঁচা পেঁপে খেতে বলা হয় তাদের।
সবাই কি খেতে পারেন?
কাঁচা পেঁপেতে কারও কারও অ্যালার্জি থাকে। তারা খেতে পারবেন না। পেঁপেতে ল্যাটেক্স বলে যে আঠা থাকে, তা থেকে অ্যালার্জি হয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, কাঁচা পেঁপে খেলে হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি পায়। আগে বলা হতো, অন্তঃসত্ত্বা নারীরা কাঁচা পেঁপে খাবেন না। তবে এক বা দুই টুকরা খেলে, কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারা কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন।
সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়
কাঁচা পেঁপে রান্না না করে সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। পেঁপে ঝিরিঝিরি করে কেটে গাজরসহ অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে লেবুর রস ও লবণ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, খালি পেটে পেঁপের সালাদ না খাওয়াই ভালো।