▶ মাথার গড়ন যাতে ঠিক হয়, সে জন্য ছোটদের বিশেষভাবে তৈরি বালিশ ছাড়া অন্য বালিশ ব্যবহার করবেন না।

▶ সবসময় কোনো বিশেষ দিক করেই শোয়া স্বাস্থ্যকর নয়। ঘুমের মধ্যে শিশুকে পাশ ফিরিয়ে দিন।

▶ শোয়ানোর সময় বাচ্চার নাক যেন চেপে না যায়। ছোট বাচ্চারা মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে পারে না।

▶ বাচ্চাকে উপুড় করে শোয়াবেন না। এতে নিশ্বাসের অসুবিধা হতে পারে।

▶ ঘরে কথা বললে, কাজ করলে বাচ্চার ঘুমের ব্যাঘাত হবে এমন ভাববেন না। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ঘুমানোর অভ্যাস করালে পরে ঘুমের সমস্যা কম হবে। ঘরে হালকা করে গানও চালিয়ে রাখতে পারেন।

▶ বাচ্চাকে বিছানায় শুয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করান। না হলে কোল থেকে নামিয়ে বিছানায় শোয়ালেই ঘুম ভেঙে যাবে।

▶ প্রতিটি বাচ্চাই নিজের কতটা ঘুম প্রয়োজন, তা ভালো করে বোঝে। তাই ও যতক্ষণ চায় ঘুমাতে দিন। তবে সারা দিন ঘুমালেই যে বাচ্চার শরীর-স্বাস্থ্য ভালো হবে, এমন নয়। ওর ঘুম আর খেলাধুলায় যেন একটা ভারসাম্য থাকে।

▶ শরীর খারাপ থাকলে, বিশেষ করে বাচ্চার পেটেব্যথা হলে ঘুমের সমস্যা হয়। তখন কোলে নিয়ে কাঁধে মাথা রেখে ঘুম পাড়ালে শিশু আরাম পায়।

লেখক : শিশুরোগ ও শিশু হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, সাবেক অধ্যাপক ও পরিচালক, ঢাকা শিশু হাসপাতাল।