
প্রিন্ট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি পোড়ানোয় বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নিন্দা

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০০ পিএম
-67f9de384f53c-67fbedc1e3d5a.jpg)
আরও পড়ুন
নববর্ষের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য চারুকলার বানানো ফ্যাস্টিস্ট হাসিনার ‘মুখাকৃতি ও শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দিয়ে পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
রোববার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ নিন্দা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আগামীকাল পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। বাংলাদেশের আপামর অসাম্প্রদায়িক জনগণ আনন্দ উৎসবের সঙ্গে প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ পালন করে। এ বছর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বৈশাখের আনন্দ মিছিলের নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দযাত্রা’ করায় আমরা চারুকলা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই।
এতে বলা হয়, প্রত্যাশা করি ভবিষ্যতেও বাংলা নববর্ষ পালনে বিদেশি অপসংস্কৃতি পরিহার অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, চারুকলা ইনস্টিটিউট পূর্বের মতো এবারও আনন্দ মুখর পরিবেশে ‘বর্ষবরণ আনন্দযাত্রা’ আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু ১২ এপ্রিল ভোর ৪টায় কালো টি-শার্ট ও মুখে মুখোশ পরিহিত এক যুবক অফিসের দেয়াল টপকে গ্যাস লাইটার দিয়ে ‘ফ্যাসিস্ট মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন ধরিয়ে দেয় ও পুড়ে ছাই হওয়া নিশ্চিত করে পুনরায় দেয়াল ডিঙিয়ে পালিয়ে যায়। এটা জাতির জন্য খুবই হতাশাজনক। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি এই দুঃখজনক ঘটনার দায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও চারুকলা ইনস্টিটিউট এড়াতে পারে না। দীর্ঘদিন যাবৎ এ মন্ত্রণালয় সচিব শূন্য রেখে ফ্যাসিস্ট দোসরদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করানো এবং চারুকলা ইনস্টিটিউটে ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে ফ্যাসিস্ট প্রেতাত্মাদের লালন-পালন করার সুযোগে এসব প্রেতাত্মারাই ‘বর্ষবরণ আনন্দযাত্রা’র মাত্র একদিন আগে এই নিন্দনীয় অপকর্ম করার সহস দেখিয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও চারুকলা ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করা হোক। একই সঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ফ্যাসিস্ট দোসরমুক্ত করা হোক।